সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সব মায়েরাই বোধহয় এমনই। পৃথিবী একদিকে। আর সন্তান অন্যদিকে। তাদের সাফল্যেই মায়ের আনন্দ। আইপিএলেও দেখা গেল এমনই এক মুহূর্ত। অসাধারণ বুদ্ধিমত্তায় যখন ম্যাচ জিতিয়ে মাকে ভিডিও কল করছেন আবেশ খান, ওপারে তখন আবেগ ধরে রাখতে না পেরে খুশির কান্না ঝরছে তাঁর মায়ের চোখে। আর তা দেখে এগিয়ে এসে সান্ত্বনা দিচ্ছেন নিকোলাস পুরান। হয়তো সুদূর উইন্ডিজ থেকে আইপিএল খেলতে এসে তাঁরও হয়তো মায়ের কথা মনে পড়ছিল। ইতিমধ্যেই নেটভুবনে ভাইরাল সেই মুহূর্ত। আর যা দেখে আবেগপ্রবণ নেটিজেনরাও।
শনিবারের ম্যাচের শেষ ওভারে রাজস্থান রয়্যালসের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল মাত্র ৯ রান। হাতে ৬ উইকেট। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একেবারে জলভাত। অথচ ওইটুকু রান তুলতে পারেনি গোলাপি বাহিনী। নেপথ্যে লখনউ সুপার জায়ান্ট পেসার আবেশ খান। আঁটসাঁট বোলিং করলেন। এবং জয়ের তাজ মাথায় তুলে নিলেন। আর তা দেখতে দেখতে আবেগে ভাসলেন ২৮ বছরের ক্রিকেটারের মা। তাঁর চোখে আনন্দাশ্রু।
শেষ ওভারে আবেশ দিয়েছিলেন মাত্র ৬ রান। দলকে ২ রানে জিতিয়ে তিনি অভিনন্দন কুড়িয়ে নিচ্ছিলেন তিনি। এরপর মাকে ভিডিও কল করেন ইন্দোরের এই ক্রিকেটার। সেখানে আবেশের মা শাবিনা খান আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। মাকে সান্ত্বনা দেন ক্রিকেটার। তাতেও বাধ মানেনি মায়ের কান্না।
চোখ এড়ায়নি নিকোলাস পুরানের। তিনিও আবেশের কাছে যান। ভিডিও কলে সতীর্থর মায়ের কাছে জানতে চান, "আপনি কাঁদছেন কেন?" এরপর আবেশ বুঝিয়ে বলেন, "তোমার কাছে ও জানতে চাইছে, তুমি কাঁদছ কেন?" এরপর পুরান হিন্দি মেশানো ইংরেজিতে বলেন, "রোনা নেহি... একদম কাঁদবেন না। কখনও কাঁদবেন না। এবার হাসুন। সবসময় এমনই হাসবেন। আপনার ছেলে খুব ভালো।" আবেশ তো বটেই পুরানের ভূমিকাও নেটপাড়ায় প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছে। এরপর আবেশের মা'কে দর্শক গ্যালারি থেকে বেরিয়ে এসে ছেলেকে জড়িয়ে ধরতে দেখা যায়। সেখানেও আবেগ দেওয়া-নেওয়া চলে মা-ছেলের মধ্যে। সঙ্গে ছিলেন পরিবারের অনেকে।
উল্লেখ্য, শেষ বলে রাজস্থানের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৪ রান। ক্রিজে ছিলেন শিবম দুবে। আবেশের ফুল লেন্থ বল সপাটে চালান দুবে। বল সোজা গিয়ে লাগে আবেশ খানের হাতে। এতটাই জোরে লেগেছিল যে, ঠিক মতো সেলিব্রেশনও করতে পারেননি। প্লেয়ার অফ দ্য ম্যচের পুরস্কার নিয়ে তিনি বলেন, "হাত ঠিকই আছে। তবে ভেবেছিলাম, হাতটা হয়তো ভেঙে গিয়েছে। হাড়েও যন্ত্রণা হচ্ছিল। ঠিক মতো সেলিব্রেট করতে পারিনি।"
