মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১৫৫-৮ (জ্যাকস ৫৩, সূর্য ৩৫, সাই কিশোর ২-৩৪)
গুজরাট টাইটান্স: ১৪৭-৭ (১৯) (শুভমান গিল ৪৩, বাটলার ৩০, বুমরাহ ২-১৯)
ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে গুজরাট ৩ উইকেটে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হার না মানা মানসিকতা। যে কোনও চ্যাম্পিয়ন দলের এটাই মূল শক্তি। সেই শক্তিই মঙ্গলবার ওয়াংখেড়েতে পূর্ণরূপে প্রদর্শন করল শুভমান গিলের গুজরাট টাইটান্স। টানটান ম্যাচে স্নায়ুর চাপ সামলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে পৌঁছে গেল গুজরাট। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে গুজরাট জিতল ৩ উইকেটে।
এদিন মেঘাচ্ছন্ন ওয়াংখেড়েতে টস জিতে প্রত্যাশিতভাবেই প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাট টাইটান্স। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বিশ্রী হয় মুম্বইয়ের। দুই ওপেনার রিকেলটন এবং রোহিত প্যাভিলিয়নে ফেরেন মাত্র ২৬ রানে। তবে দুই ওপেনারের উইকেটের পর জুটি বেঁধে মুম্বইকে একশোর কাছাকাছি পৌঁছে দেন সূর্যকুমার যাদব এবং উইল জ্যাকস। সূর্য ৩৫ রানে আউট হলেও জ্যাকস(৫৩) অর্ধশতরান করেন। কিন্তু দুই সেট ব্যাটার আউট হতেই বিপর্যয়ের মুখে পড়ে মুম্বই। একে একে দ্রুত ফিরে যান তিলক বর্মা (৭), হার্দিক পাণ্ডিয়া (১) এবং নমন ধীর (৭)। পরপর উইকেট খুইয়ে চাপে পড়া মুম্বইকে চমকপ্রদভাবে দেড়শোর ওপারে পৌঁছে দেন কেভিন বস্ক। ২২ বলে ২৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি। মুম্বই ইনিংস শেষ হয় ৮ উইকেটে ১৫৫ রানে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা গুজরাটেরও ভালো হয়নি। দ্বিতীয় ওভারে ফর্মে থাকা ওপেনার সুদর্শন মাত্র ৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। এরপর অধিনায়ক শুভমান গিল এবং জস বাটলার ইনিংসের হাল ধরলেও সেভাবে রানের গতি বাড়াতে পারেননি তাঁরা। পাওয়ার প্লের শেষে দলের রান ছিল মাত্র ২৯। তবে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারের জুটিতে ইনিংসের ভিত শক্ত হয়। ২৭ বলে ৩০ রান করেন বাটলার। তাঁর উইকেটের পর সেরফান রাদারফোর্ড এসে ম্যাচের গতি পালটে দেন। রাদারফোর্ড ১৫ বলে ২৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। কিন্তু অপরপ্রান্তে অধিনায়ক গিল ব্যাট করলেন একশোরও কম স্ট্রাইক রেটে। তিনি ৪৬ বলে ৪৩ রান করলেন। যার ফলে চাপ পড়ে গেল লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটারদের উপর। সেই সঙ্গে বৃষ্টির ভ্রূকুটি এবং বুমরাহ-বোল্টদের আতঙ্ক। শেষদিকে গুজরাটের ব্যাটাররা চাপের মুখে চুপসে গেলেন। বৃষ্টিতে যখন খেলা বন্ধ হল তখন গুজরাটের স্কোর ১৮ ওভারে ৬ উইকেটে ১৩২ রান। শেষ দুওভারে দরকার ছিল ২৪ রান। সেসময় ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে গুজরাট ৪ রানে পিছিয়ে ছিল।
বৃষ্টির বাঁধার পর খেলা যখন শুরু হল, তখন ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে এক ওভারে ১৫ রান তুলতে হত গুজরাটকে। কঠিন লক্ষ্য যেন হঠাতই সহজ হয়ে দাঁড়াল। তৃতীয় বলটি নো বল করে তেওয়াটিয়াদের কাজটা আরও সহজ করে দিলেন দীপক চাহার। ম্যাচের শেষ বলে লক্ষ্যে পৌঁছে গেল গুজরাট। টানটান ম্যাচে অবিশ্বাস্য এই জয় পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে পৌঁছে দিল গুজরাট টাইটান্সকে। তাদের নকআউটে খেলাটাও প্রায় নিশ্চিত।
