সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইডেনে একপ্রকার 'নিষিদ্ধ' হয়েছেন হর্ষ ভোগলে (Harsha Bhogle)। নাইটদের আর কোনও ম্যাচে ধারাভাষ্য দিতে দেখা যাবে না তাঁকে। সোমবার গুজরাটের বিরুদ্ধে ম্যাচেও ছিলেন না। একই অবস্থা সাইমন ডুলের। পিচ বিতর্কে (Eden Gardens Pitch Controversy) মন্তব্য-পালটা মন্তব্যের জেরে বোর্ডকে চিঠি দিয়েছিল সিএবি। এবার ইডেনে তাঁর 'নিষিদ্ধ' হওয়া নিয়ে মুখ খুললেন ভোগলে। তবে কিছুটা পাশ কাটিয়েই গেলেন তিনি।
এক্স হ্যান্ডলে তিনি মঙ্গলবার লিখেছেন, 'কেন আমি গতকাল কলকাতায় ছিলাম না, সেই নিয়ে কিছু আপত্তিকর সিদ্ধান্ত তৈরি করা হচ্ছে। আসল কথাটা হল, আমার যে ম্যাচগুলোয় ধারাভাষ্য দেওয়ার কথা, সেই তালিকায় এই ম্যাচটা ছিল না। আমাকে জিজ্ঞেস করলেই ব্যাপারটা মিটে যেত। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ধারাভাষ্যকারদের সূচি তৈরি হয়ে যায়। কলকাতায় আমার দুটো ম্যাচে ধারাভাষ্য দেওয়ার কথা ছিল। প্রথম ম্যাচে আমি ছিলাম। পরিবারের একজন অসুস্থ হয়ে পড়ায় দ্বিতীয় ম্যাচে ছিলাম না।'
স্পষ্টতই, ধারাভাষ্যকার বনাম সিএবি বিতর্কে ঢুকলেনই না তিনি। যদিও সিএবি'র এক কর্তা সংবাদসংস্থা পিটিআই'কে জানিয়েছেন, "ভোগলে আর ডুল আইপিএলে কেকেআরের ইডেনের ম্যাচে আর থাকবেন না। তবে ইডেনে কোয়ালিফায়ার বা ফাইনাল ম্যাচের জন্য পরিস্থিতি বদলাতে পারে।" ভোগলে 'আত্মপক্ষ সমর্থন'-এ সেই বিষয়ে ঢুকলেনই না।
বিতর্কের সূত্রপাত আইপিএলের (IPL 2025) শুরুর দিন থেকেই। আরসিবি’র কাছে হারের পরই ইডেনে ঘূর্ণি পিচের আবেদন করেছিলেন নাইট অধিনায়ক রাহানে। সেটা আবার প্রত্যাখ্যান করেন পিচ কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়। স্পষ্ট করে বলেই দিয়েছিলেন, তিনি যতদিন দায়িত্বে থাকবেন, ততদিন ইডেনে পুরোদস্তুর ঘূর্ণি পিচ দেওয়া সম্ভব নয়। তার পালটায় হর্ষর বক্তব্য ছিল, হোম অ্যাডভান্টেজ দেওয়া অবশ্য কর্তব্য। অন্যদিকে সাইমন ডুল তো বলেই দিয়েছিলেন, ঘরের মাঠ বদলে ফেলুক কেকেআর। এই মন্তব্য একেবারেই ভালোভাবে নেয়নি সিএবি। বিসিসিআই’কে চিঠি লিখে তারা জানান, কিউরেটরকে নিয়ে মন্তব্য আসলে ক্রিকেট সংস্থারই অপমান। তারপরই জানা যায় এই দুই ধারাভাষ্যকারকে যেন ইডেনে আর কমেন্ট্রি করতে আর দেখা যাবে না।
