মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১৮৪/৭ (রায়ান-২৭, সূর্যকুমার-৫৭)
পাঞ্জাব কিংস: ১৮৭/৩ (প্রিয়ংশ-৬২, ইংলিশ-৭৩, শ্রেয়স-২৬*)
৭ উইকেটে জয়ী পাঞ্জাব কিংস
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৪ থেকে ২০২৫। মাঝে বয়ে গিয়েছে অনেকটা সময়। পালটে গিয়েছে অধিনায়কদের নাম থেকে জার্সির ডিজাইন। কিন্তু হাল ছাড়েননি প্রীতি জিন্টা। দীর্ঘ ১১ বছরের প্রতীক্ষার পর আবারও প্লে অফে তাঁর দল পাঞ্জাব কিংস (Punjab Kings)। আত্মবিশ্বাসে টইটম্বুর ফ্র্যাঞ্চাইজি তাই প্রথম দুয়ে থাকার লড়াইয়ে কোনওরকম ঢিলেমি দিতে চায়নি। যার প্রমাণ মিলল সোমবারের রাতের জয়পুরে। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বইকে (Mumbai Indians) জোর ধাক্কা দিয়ে প্রথম দুয়ে নিজেদের জায়গা পাকা করে ফেললেন শ্রেয়স আইয়াররা।
গত মরশুমে নেতৃত্বের ভার কাঁধে নিয়ে কেকেআরকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন শ্রেয়স। কিন্তু সেই ক্যাপ্টেনকেই দূরছাই করেছে নাইট শিবির। পাঞ্জাবের অধিনায়কত্ব পেয়ে তাই নিজেকে প্রমাণ করার তাগিদটা যেন আরও বেড়ে গিয়েছিল তাঁর। ভারতীয় টেস্ট দলে ডাক পেলেন কি না, সেসব অঙ্ক মাথা থেকে ঝেড়ে চলতি আইপিএলে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন তিনি। যার ফল লিগ টেবিলের ছবিতেই স্পষ্ট। এদিন তাঁর নেতৃত্বে যেমন দুরন্ত বোলিংয়ে মুম্বইয়ের মিডল অর্ডারকে নাস্তানাবুদ করল পাঞ্জাব, তেমনই ব্যাট হাতে মাত্র তিন উইকেট হারিয়ে ব্যাটাররা পৌঁছে গেলেন নির্ধারিত লক্ষ্যেও। সেখানে আবার চার-ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জিতিয়েই ক্রিজ ছাড়লেন শ্রেয়স। গ্যালারিতে তখন গালে টোল পড়া হাসি আর হাততালিতে উচ্ছ্বসিত প্রীতি জিন্টা।
এদিন টসে জিতে রোহিত শর্মাদের প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় পাঞ্জাব। দুই ওপেনার রায়ান এবং রোহিত যথাক্রমে ২৭ ও ২৪ রানে আউট হলে দলের হাল ধরেন সূর্যকুমার যাদব। তবে এরপরই অর্শদীপ এবং বিজয়কুমারের দাপটে ধস নামে মুম্বইয়ের মিডল অর্ডারে। শেষে আবার হার্দিক পাণ্ডিয়ার ২৬ রানের দৌলতে লড়াইয়ের মতো জায়গায় পৌঁছায় মুম্বই। যদিও সেই রান তুলতে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি পাঞ্জাবকে। প্রিয়ংস এবং জশ ইংলিশের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে কার্যত একপেশে ভাবেই ম্যাচ জিতে লিগ তালিকার শীর্ষে পৌঁছে গেল পাঞ্জাব।
আপাতত ১৯ পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বরে শ্রেয়সরা। আরসিবি বনাম লখনউ ম্যাচের পর পরিষ্কার হবে, প্রথম দুয়ের দ্বিতীয় দল কোনটি। তবে এই হারে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে চারেই রইল মুম্বই। অর্থাৎ প্লে অফের লড়াই আরও কঠিন হল রোহিতদের জন্য। তবে শ্রেয়সের 'দাদাগিরি'তে যে প্লে অফ মহারণ আরও জমে উঠল, তা বলাই বাহুল্য।
