সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাওয়ার প্লে'তে নব্বই রান। বারো ওভারে সেটা দাঁড়াল দেড়শোর কাছাকাছি। গোটা ইডেন জুড়ে কিনা উল্লাস চলছে তখন। সপ্তাহের দ্বিতীয় কাজের দিন উপেক্ষা করে, দুপুরের কাঠফাটা রোদ মাথায় নিয়েও প্রায় ছেচল্লিশ হাজার সমর্থক এসেছিলেন প্রিয় দলকে সমর্থন জোগাতে। সবাই একটা সময় ধরে নিয়েছেন যে কেকেআর শুধু জিতবেনা। হাসতে হাসতে জিতবে।

ঠিক সেই সময়ই ঋষভ পন্থ ব্রেক নিলেন। ইনজুরি ব্রেক। কারও মতে, কেকেআরের মোমেন্টাম নষ্ট করতেই নাকি ঋষভ ওই ব্রেক নেন। ঠিক যা করেছিলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে। যা নিয়ে পরে রেহিত শর্মাও বলে যান, ঋষভের ওই সিদ্ধান্ত কিছুটা হলেও তাঁদের ফাইনাল জিততে সাহায্য করেছিল। ওই ব্রেকের পরই ছন্দ হারায় দক্ষিণ অফ্রিকা। সেদিন বার্বাডোজে যা ঘটেছিল, কাকতালীয়ভাবে ইডেনে ঠিক সেটাই ঘটল। সেদিন পন্থের ওই সিদ্ধান্ত ভারতকে বিশ্বকাপ জেতায়। মঙ্গলবার লখনউকে জেতাল।
ঋষভের ওই ট্যাকটিক্যাল মাস্টারস্ট্রেক। ওই ব্রেকের পরই কেকেআর চার ওভারে চারটে উইকেট হারাল। একইসঙ্গে মঙ্গলবারের ইডেন আরও একটা ক্রিকেটীয় সারসত্যের প্রতিষ্ঠা দিয়ে গেল-ইহা বড়ই অনিশ্চয়তার খেলা। যার পরতে পরতে রয়েছে নাটক। রয়েছে রোমাঞ্চ। না হলে কেকেআরের ওরকম বিধ্বংসী শুরুর পর কে-ই বা ভাবতে পেরেছিলেন, শেষ ওভারে 'সিকন্দর' হয়ে নাইটরা নয়, মাঠ ছাড়বে লখনউ।
পরে পন্থ একপ্রকার স্বীকার করে নিলেন, ইচ্ছাকৃতভাবেই ওই ইনজুরি ব্রেক নিয়েছিলেন তিনি। লখনউ অধিনায়ক বলে গেলেন, "খেলা যখন একপেশে হয়ে যায়, তখন কিছু একটা করতে হয়। কখনও সেটা কাজ করে, কখনও করে না।" যদিও এর পরেই তিনি বলে দেন, "আমার পিঠ এখন একদম ঠিক আছে।"