এফসি গোয়া: ৩ (ব্রাইসন, ইকার, বোরহা)
মোহনবাগান: ১ (সুহেল)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আশা জাগিয়ে শুরু করেও শেষ রক্ষা হল না মোহনবাগানের। কোয়ার্টার ফাইনালে কেরালা ব্লাস্টার্সকে ২-১ গোলে হারিয়ে যে দৌড় শুরু করেছিল সবুজ-মেরুন, এদিন এফসি গোয়ার কাছে এসে তা থেমে গেল। অস্বীকার করার জায়গা নেই, এই গোয়া যে ধারেভারে অনেক এগিয়ে। তাদের কাছে সুপার কাপের সেমিফাইনালে ১-৩ গোলে হেরে ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ বাস্তব রায়ের ছেলেরা।
এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলতে দেখা যায় গোয়াকে। প্রথম মিনিটেই জয় গুপ্তার দূরপাল্লার শট তিন কাঠির উপর দিয়ে চলে যায়। এরপর বল নিজেদের অনুকূলে রাখতে পাসিং ফুটবল খেলতে থাকেন বাগান ফুটবলাররা। ৯ মিনিটে ডানপ্রান্তিক আক্রমণে উঠে আসে সবুজ-মেরুন। ১৫ মিনিটে বাগান ডিফেন্ডারদের ভুলে দূরপাল্লার শট নেন সাহিল তাভোরা। ১৮ মিনিটে বোকার মতো গোল হজম করে মোহনবাগান। গোল করেন ব্রাইসন ফার্নান্দেজ। যদিও দু'মিনিট পরেই মোহনবাগানকে সমতায় ফেরান সুহেল ভাট। প্রথমার্ধে আর কোনও গোল হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণ শানায় এফসি গোয়া। ৫০ মিনিটে গোয়ার এক ফুটবলারকে বক্সে ফাউল করেন বাগান গোলরক্ষক ধীরজ সিং। পেনাল্টি পায় গোয়া। গোল করতে ভুল করেননি ইগের গুয়ারেক্সেনা। ৫৮ মিনিটে কর্নার থেকে বল সরাসরি গোলে ঢুকিয়ে দিয়ে গোয়াকে ৩-১ গোলে এগিয়ে দেন বোরহা ফার্নান্দেজ। এরপর অনেক চেষ্টা করেও ম্যাচে ফিরতে পারেনি মোহনবাগান।
বাগান কোচ বাস্তব রায় তাঁর ছেলেদের বলেছিলেন, ৯০ মিনিট ফুটবল উপভোগ করতে। প্রথমার্ধে খারাপ ফুটবল খেলেননি আশিক কুরুনিয়ান, সালাউদ্দিনরা। দু'টো উইংই মাঝে মাঝেই চাপে ফেলছিল গোয়ার রক্ষণকে। তবে, দ্বিতীয়ার্ধে কেমন যেন খেই হারিয়ে ফেলেন সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা। বলা যায়, মাত্র ৮ মিনিটের একটা স্পেলেই গোয়ার কাছে কুপোকাত হয়ে ক্রিমুকুট জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের। যদিও মোহনবাগানের তরুণ ব্রিগেডের খেলা প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছে।
