সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অ্যাশেজে ৪০তম সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন জো রুট। এটাই অস্ট্রেলিয়ায় তাঁর প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। অসামান্য এই ইনিংসের পর রুটের বাবা জানিয়েছেন, ক্রিকেট খেলার জন্যই জন্মেছে তাঁর ছেলে। মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থাতেই ক্রিকেট যেন তাঁর রক্তে। কারণ অ্যাশেজের ধারাভাষ্য শুনতে শুনতে রুটকে জন্ম দেওয়ার আগে অপারেশন থিয়েটারে গিয়েছিলেন তাঁর মা।
অস্ট্রেলিয়ায় রুট ১২ বছরে ১৫টি টেস্ট খেলেছেন। আর ব্রিসবেনে গোলাপি বলের টেস্টে নামার আগে সব মিলিয়ে ২৯টি ইনিংস খেললেও কোনও সেঞ্চুরিও পাননি। সেই রুট গাব্বায় প্রথম দিনেই সেঞ্চুরি পেয়েছেন। এমন অবিস্মরণীয় ইনিংসের পর রুটের বাবা-মা সম্প্রচারকারী চ্যানেলে এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে রুটের মা হেলেন বলেন, "ও বরাবরই ক্রিকেট খেলতে ভালোবাসত। হাঁটতে শেখার পর থেকে সারাক্ষণ ওর হাতে ব্যাট থাকত। টানা ক্রিকেট খেলেও ক্লান্ত হত না।"
ইংলিশ ক্রিকেটারের বাবা ম্যাট জানান, তাঁর ছেলের জন্মই হয়েছে ক্রিকেট খেলার জন্য। তাঁর কথায়, "৩৫ বছর আগের কথা। স্ত্রীর প্রসববেদনা উঠেছিল যখন, তখনও ও অ্যাশেজের ধারাভাষ্য শুনছিল।" উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালের ৩০ ডিসেম্বর রুটের জন্ম হয় যেদিন, সেদিন ছিল অ্যাশেজের মেলবোর্ন টেস্টের শেষ দিন। ইংল্যান্ড ৮ উইকেটে হেরে যায় সেই ম্যাচ। ইংল্যান্ডের ডেভিড গাওয়ার প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন। ওয়েন লারকিন্স দুই ইনিংসেই হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার ব্রুস রিড দুই ইনিংসে ১৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেন।
রুটের মা হেলেনের কথায়, "অনেকেই বলছে ওর পিঠের উপর থেকে যেন মস্ত বোঝা নেমে গেল। কিন্তু এই সেঞ্চুরি বিশেষ প্রভাব ফেলবে না ওর মধ্যে। ওর একমাত্র লক্ষ্য হল দলের জয়। তাহলেই ও খুব আনন্দ পাবে।" অন্যদিকে ম্যাট বলছেন, "স্টার্ক যেভাবে দু'দিকে সুইং করাচ্ছিল তাতে কিছুটা তো চিন্তায় ছিলাম। দু'অঙ্কের রানে পৌঁছনোর আগেই দুই উইকেট পড়ে যায়। তার উপর রুট ৯০-এর ঘরে আউট হওয়ার চেয়ে বেশিবার আউট হয়েছে ১০-এর ঘরে। সেই কারণে ওর ব্যাটিংয়ের সময় চিন্তা হয়।"
