স্টাফ রিপোর্টার: ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (জেএসসিএ)-এর প্রধান গেট দিয়ে ঢুকে একতলায় যেতে হবে। দু'টো পাশাপাশি ঘর। প্রথম ঘরটায় বসেন সৌরভ তিওয়ারি। পাশের ঘরে শাহবাজ নাদিম।
ঝাড়খণ্ডের হয়ে দু'জনে একসঙ্গে বহুবছর খেলেছেন। ক্রিকেট থেকে অবসরের পর প্রশাসক হিসাবে দু'জনের অভিষেকও একসঙ্গে। সৌরভ এখন ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট সংস্থার সচিব। শাহবাজ যুগ্মসচিব। কয়েক মাস আগে দায়িত্বে এসেছেন। কাকতালীয় হতে পারে, কিন্তু সৌরভ-নাদিমদের আসার পরই ঘরোয়া ক্রিকেটে এখনও পর্যন্ত বেশ ভালো পারফর্ম করেছে ঝাড়খণ্ড টিম। আগামীতে রাজ্য ক্রিকেটকে আরও উন্নত করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে সৌরভ-নাদিমদের মনে। বাংলায় যেমন ক্লাব ক্রিকেট। ঝাড়খণ্ডে তেমনই জেলাভিত্তিক ক্রিকেট। চার জেলায় চারটে আবাসিক অ্যাকাডেমি থেকে শুরু করে উন্নত মানের রিহ্যাব সেন্টার করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। আর সৌরভ-নাদিমরা সব পদক্ষেপেই করছেন একজনের পরামর্শ অনুসারে।
মহেন্দ্র সিং ধোনির পরামর্শে।
ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই সৌরভ ও নাদিম চলে যান ধোনির কাছে। তাঁদের নিজেদের ভাবনার কথা বলেন ধোনিকে। সেই সঙ্গে বিশ্বজয়ী ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের থেকে পরামর্শ চান। ধোনিই বলেন, উন্নত মানের রিহ্যাব সেন্টার করার জন্য। 'সংবাদ প্রতিদিন'-কে নাদিম বলছিলেন, "আমরা দায়িত্ব নেওয়া পরই মাহিভাইয়ের কাছে যাই। আমরা নিজেদের পরিকল্পনার কথা শেয়ার করি। ওর পরামর্শ চাই। মাহিভাই আমাদের বলেছে, স্টেডিয়ামে একটা জায়গা ফাঁকা পড়ে রয়েছে। সেখানে ভালো একটা রিহ্যাব সেন্টার করতে। আমাদের ক্রিকেটাররা চোট পেলে হয় ওদের এনসিএ যেতে হয়। না হয় মুম্বই। কিংবা অন্য কোথাও। আমরা এখানেই ভালো রিহ্যাব সেন্টর করব। যেখানে ভালো ফিজিও থাকবে। ভালো ট্রেনার থাকবে। ক্রিকেটাররা চোট পেলে এখানেই রিহ্যাব করতে পারবে। আর একটা সুবিধে হল, পুরোটাই ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়শন তত্ত্বাবধান করতে পারবে। অর্থাৎ কে কীরকম রিকভারি করছে, সেটা ট্র্যাক করা যাবে। আর মাহিভাইয়ের মতো একজন ক্রিকেটব্যক্তিত্ব থাকায় আমাদেরও সুবিধে হয়েছে। কারণ যে কোনও প্রয়োজনে ওর সঙ্গে আলোচনা করতে পারি। ওর পরামর্শ নিতে পারি।"
শুধু রিহ্যাব সেন্টার করা নয়, বেশ কয়েকটা রেসিডেন্সিয়াল অ্যাকাডেমিও করতে চলেছে জেএসসিএ। নাদিম বলেন, "এখানে ক্রিকেটের সংস্কৃতি বেশ ভালে। কলকাতায় ক্লাব ক্রিকেট যেমন অনেক বেশি উন্নত, এখানে ডিস্টিক্ট্র ক্রিকেট। আমরা চার-পাঁচটা জেলায় অ্যাকাডেমি করার পরিকল্পনা করেছি। যাতে বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিভা খুঁজে বের করা যায়। আর এই সব অ্যাকাডেমি চালাবে জেএসসিএ। সারা বছর ধরে ট্রেনিং চলবে। দেখুন, পনেরো দিন কিংবা একমাস শুধু ওদের তত্ত্বাবধানে রাখলে চলবে না। সারা বছর ধরে ট্রেনিং করাতে হবে। ওই অ্যাকাডেমিগুলোর জন্য ভালো ভালো কোচ নিয়োগ করা হবে। আরও বেশি প্রতিভা তুলে নিয়ে আসাই আমাদের লক্ষ্য।" আর লক্ষ্যপূরণে পথ প্রদর্শকের ভূমিকায় একজনই। মহেন্দ্র সিং ধোনি।
