সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রায়পুরে প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি করেছেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। ৭৭ বলে সেঞ্চুরি এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। তবে এই সেঞ্চুরির নেপথ্যে রয়েছে বিরাট কোহলির (Virat Kohli) পরামর্শ। নিজেই এ কথা বলেছেন সিএসকে অধিনায়ক। কোহলির এহেন ভূমিকায় খুশি কিংবদন্তি প্রাক্তন ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকরও। তাঁর মতে, রুতুরাজের প্রাথমিক জড়তা কাটাতে সাহায্য করেছেন কোহলি।
রাঁচিতে রুতুরাজ করেছিলেন মাত্র ৮ রান। ব্যর্থতা ভুলে রায়পুরে দুরন্ত সেঞ্চুরি করেন তিনি। একাধিকবার তাঁকে নানান পরামর্শ দিতে দেখা গিয়েছে বিরাটকে। সেই পরামর্শমতো মাথা ঠান্ডা রেখে তাঁর ইনিংসকে সেঞ্চুরিতে রূপান্তরিত করেন। সম্প্রচারকারী চ্যানেলকে গাভাসকর বলছেন, "বিরাট এবং রুতুরাজ যেভাবে সেই জুটি গড়ে তুলেছে, তা এককথায় অসাধারণ। জানসেনের ভয়ংকর বাউন্সার রুতুরাজকে স্বাগত জানিয়েছিল। ওর মতো ব্যাটার হতচকিত হয়ে যায়। আগের বলেই যশস্বীকে আউট করে জানসেন। তাই রুতুরাজকেও শার্প বাউন্সার দেয়। যা গ্লাভসে লেগে উইকেটের পিছন দিয়ে বাউন্ডারির সীমানা পেরয়। সঙ্গে সঙ্গে কোহলি এগিয়ে এসে ওকে পরামর্শ দেয়।"
সানির সংযোজন, "রুতুরাজ প্রথম ম্যাচে কিছুটা হয়তো নার্ভাস ছিল। যেটুকু সময় ক্রিজে ছিল, ওকে দেখে বেশ ভালোই লাগছিল। তবে দুরন্ত ক্যাচ নেয় ব্রেভিস। রান পেতে গেলে মাঝেমাঝে ভাগ্যেরও সহায়তা দরকার হয়। সেটা ও পায়নি।" সেই কারণেই সানি মনে করেন, কোহলির পরামর্শ সিএসকে অধিনায়কের ব্যাটিংয়ে প্রভাব রেখেছে। আর তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে সুফল পেয়েছেন রুতুরাজ।
তিনি আরও বলেন, "কোহলির পরামর্শে ও সুফল পেয়েছে। মানসিকভাবেও শক্তিশালী করে তুলেছে। পরের বলটাতেই ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলেছে। একেবারে ফ্রন্টফুটে। বিরাট যেভাবে ওকে গাইড করেছে, তা খুবই প্রশংসনীয়। নিজে রান করেছে, সঙ্গীকেও রান করতে সাহায্য করেছে। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাইশ গজে ওরা দুর্দান্ত ছিল। বিরাটের মতো একজন সিনিয়র ক্রিকেটার যেভাবে একজন তরুণ খেলোয়াড়কে পথ দেখাচ্ছেন, তা দেখে সত্যিই ভালো লাগছে।"
উল্লেখ্য, ১৯৫ রানের জুটি গড়েছেন বিরাট-রুতু। যা একটা রেকর্ডও। ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার একদিনের আন্তর্জাতিকে এটাই যে কোনও উইকেটে সর্বোচ্চ জুটি। ভারতীয় দলের ইনিংস শেষে সম্প্রচারকারী চ্যানেলকে রুতুরাজ বলেন, “বিরাট ভাইয়ের সঙ্গে ব্যাট করার স্বপ্ন ছিল অনেক দিন। সেই স্বপ্নপূরণ হল। জুটিটাও দারুণ হয়েছে। যখন ব্যাটিং করছি, বিরাট ভাইয়ের কাছে অনেক সাহায্য পেয়েছি। আমাকে ফিল্ডিংয়ের গ্যাপ কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়েছে। এমনকী কে কেমন বল করে, কে কোন লেংথে বল করে, কার বল কীভাবে খেলতে হবে, সব কিছু ও বলে দিয়েছে। এতে উপকৃত হয়েছি। আমরা ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করে এগোচ্ছিলাম।” আর এবার কোহলির এহেন ভূমিকায় মুগ্ধ গাভাসকর। উল্লেখ্য, রায়পুরে একগুচ্ছ নজির গড়ে ৫৩তম সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন কোহলিও।
