স্টাফ রিপোর্টার: একটা ম্যাচে জয় পরিস্থিতি অনেকটা বদলে দিয়েছে। ঋষভ পন্থ নিজে রান পাচ্ছেন না। চারটে ম্যাচে সর্বমোট রান ১৯। সর্বোচ্চ ১৫। গড় ৪.৭৫। স্বাভাবিকভাবেই চাপটা ঋষভের উপরও ছিল। কিন্তু মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে জয় লখনউ সুপার জায়ান্টসের উপর চাপ যেমন কমিয়েছে, তেমন ঋষভকেও স্বস্তি দিয়েছে। মঙ্গলবার ইডেনে যুদ্ধ গতবারের চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে। যারা ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে উড়িয়ে দিয়েছে।
রবিবার দুপুরে লখনউ টিম প্র্যাকটিসে আসে ইডেনে। অনুশীলনে সব ফোকাস যে ঋষভের উপর থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। পন্থ নিজে বেশ ফুরফুরে। দেখে কোথাও বোঝা যাবে না যে চাপ রয়েছে তাঁর উপর। কেকেআর-যুদ্ধে নামার আগে পুরো লখনউ সুপার জায়ান্টস একেবারে খোশ মেজাজে। টিমের মেন্টর জাহির খান মাঠে ঢুকেই গেলেন ইডেন উইকেট দেখতে। বেশ কিছুক্ষণ পিচ পরীক্ষা চলল। অজিঙ্ক রাহানেরা আগের ম্যাচে যে পিচে খেলেছিলেন, এই ম্যাচে সেখানে হচ্ছে না। কারণ আইপিএলে নাকি সুস্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে, পরপর দু'টো ম্যাচ একই উইকেটে হবে না। তবে পিচ বদলালেও উইকেটের চরিত্র খুব একটা বদলাবে না। শোনা গেল, লখনউ কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার পিচ দেখে বেশ খুশি। ল্যাঙ্গার বলেও যান, ইডেনের উইকেট তাঁর খুব পছন্দ হয়েছে। উইকেটে স্পিনারদের জন্য যেমন রসদ রয়েছে, তেমনই সাহায্য পাবেন পেসাররাও।
এবার একটু ঋষভে ফেরা যাক। লখনউ ঘণ্টা তিনেক অনুশীলন করল। ঋষভ ফুটবল খেললেন। ক্যাচিং প্র্যাকটিস হল। তবে নেটে ব্যাটিংই করলেন না লখনউ অধিনায়ক। শেষে আবার কেকেআর শিবিরে একবার ঢুঁ মেরে গেলেন। সঙ্গে রবি বিষ্ণোই, আভেশ খান। বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা চলল আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন, রিঙ্কু সিংদের সঙ্গে। ঋষভ অবশ্য টিমের বেরোনোর আগেই মাঠ ছাড়েন।
শোনা গেল, তিনি টিমের মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন। পুরো টিমের জন্য বিশেষ ডিনারেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। গতবার লোকেশ রাহুল-জন্টি রোডসরা কলকাতায় খেলতে এসে যুবভারতীতে মোহনবাগানের ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন। সোমবার সন্ধেয় আইএসএল সেমিফাইনালে জামশেদপুর এফসি-র বিরুদ্ধে নামছে মোহনবাগান। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে লখনউ ক্রিকেটারদের অনেকেরই যুবভারতীতে যাওয়ার কথা। সোমবার দুপুর তিনটে থেকে প্র্যাকটিস রাখা হয়েছে লখনউয়ের। প্র্যাকটিসের পরই ক্রিকেটাররা যাবেন মোহনবাগানের ম্যাচ দেখতে।