সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বের কথা একবাক্যে স্বীকার করে নেন সবাই। মাঠে নেমে সতীর্থদের থেকে সেরাটা বের করে নেন ধোনি। কিন্তু মহেন্দ্র সিং ধোনি জুনিয়র ও সিনিয়র প্লেয়ারের মধ্যে বিভেদ দূর করেছিলেন। সেটার একটা মাধ্যম ছিল হুঁকো! তেমনটাই মনে করেন সিএসকে'র প্রাক্তন ক্রিকেটার মাইক হাসি।
অনেকেই স্বীকার করেছেন, ধোনি সবার সঙ্গে সহজ ভাবে মিশতেন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেন। তাঁর ঘর ছিল সবার জন্য অবারিত দ্বার। সিএসকে'তে প্রায় ৬ বছর খেলেছেন মাইক হাসি। 'ইয়েলো আর্মির' কিংবদন্তি তিনি। কীভাবে ধোনির অধীনে চেন্নাই এত সাফল্য পেল, তার কারণ হিসেবে প্রাক্তন অজি তারকা বলছেন দলের বন্ধনের কথা। আর সবার সঙ্গে সেই 'আড্ডায়' নাকি থাকত হুঁকোও।
হাসি বলছেন, "ধোনি অসাধারণ মানুষ। ওর ঘরের দরজা ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। যে কেউ যখন-তখন গিয়ে ঘরে বসতে পারে। ওর ঘরে সোফা থাকে। প্লেয়াররা দিব্যি গিয়ে বসতে পারে, ক্রিকেট নিয়ে কথা বলতে পারে। অনেকে 'শিসা' পছন্দ করে। মানে সুস্বাদু তামাক। এটাই ছিল ওর সবার সঙ্গে মেশার পদ্ধতি। ধোনিকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। অনেকেই ওর সঙ্গে কথা বলতে পারত, খাবার নিয়ে যেত। অসাধারণ পরিবেশ তৈরি হত।"
ভারতীয় দলে হুঁকোপ্রীতির জন্য ধোনি কিন্তু বেশ পরিচিত। মাস কয়েক আগে ইরফান পাঠান বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন, 'হুঁকো সেজে দিতেন না বলে বাদ পড়েন।' পরে অবশ্য পালটিও খান। তারও আগে ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার জর্জ বেইলির মন্তব্যও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। ধোনির হুঁকো খাওয়া নিয়ে বেইলি মন্তব্য করেছিলেন, “ধোনি একটু-আধটু হুঁকো খেতে ভালোবাসে। কখনও কখনও তো নিজের ঘরেই হুঁকো সাজাত। প্রত্যেকের জন্য ঘরের দোর খোলা থাকত। অনেক তরুণ ক্রিকেটাররাই সেই সময় আসা-যাওয়া চলত।”
