সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্কোর বোর্ড দেখাচ্ছে প্রথম ইনিংসে মুম্বইয়ের রান ৪৪৬। ওপেনার মুশির খানের নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ১১২ রান। কিন্তু সেখানে যা লেখা থাকবে না কখনও তা হল, প্রিয়জনকে হারানোর যন্ত্রণা নিয়েই হিমাচলপ্রদেশের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ২০ বছরের এই ক্রিকেটার।
ম্যাচের ঠিক আগেই প্রিয় 'মামু'র মৃত্যুসংবাদ পান তিনি। মামা ছিলেন মুশিরের মনের খুব কাছের। তাঁকে নিয়ে নানান স্মৃতি আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে। এত বড় আঘাত নিয়েও রনজিতে সাবলীল ছিলেন মুশির খান। একটা সময় ৭৩ রানে ৪ উইকেট পড়ে গিয়েছিল মুম্বইয়ের, সেখান থেকে দলের স্বস্তি ফেরান তিনি। সেঞ্চুরি করেন সিদ্ধেশ লাড-ও।
সেঞ্চুরি করে নিজেকে সামলে রাখতে পারেননি মুশির। চোখের কোণে জল দেখা যায় তাঁর। ১৬২ বলে ১১২ রানের ইনিংসটি তাঁর প্রিয় 'মামু'কে উৎসর্গ করেন। দীর্ঘদিন পর তাঁর এই সেঞ্চুরি। এর আগে তিনি সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে। বেঙ্গালুরুতে ভারত এ এবং ভারত বি-র খেলায় ১৮১ রান করেছিলেন তিনি। এরপর লখনউয়ে ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হন। ঘাড়ে চোট পেয়েছিলেন তিনি। ফলে তিনি ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন।
এমন ঝকঝকে ইনিংস খেলার পর মুশির বলেন, "সেঞ্চুরিটি তাঁর কাছে বিশেষ। কারণ অনেক দিন পর তা এসেছে। তবে আজ সকালে মামার মৃত্যুসংবাদ পেয়ে খুবই কষ্ট পেয়েছি। তাঁকে ঘিরে নানান স্মৃতি। তাঁর কোলে খেলেছি। তাই সেঞ্চুরির পর আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ি। কেঁদেও ফেলি।" উল্লেখ্য, প্রথম ইনিংসে ৪৪৬ রান করে মুম্বই। জবাবে হিমাচলপ্রদেশের রান ৭ উইকেটে ৯৪।
