সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেঙ্গালুরু পদপিষ্ট কাণ্ডের দায় ঠেলাঠেলি চলছে কর্নাটক সরকার এবং কর্নাটক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে। এহেন পরিস্থিতিতে আচমকাই চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিল বেঙ্গালুরু ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (BESCOM)। তাদের দাবি, যথাযথ অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা নেই স্টেডিয়ামে। উল্লেখ্য, বেঙ্গালুরু ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি রয়েছে কর্নাটক সরকারের অধীনে। অন্যদিকে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের দায়িত্বে রয়েছে কর্নাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন।
ঠিক কী অভিযোগ উঠেছে বিরাট কোহলির 'ঘরের মাঠ' চিন্নাস্বামীর বিরুদ্ধে? কর্নাটকের দমকল দপ্তরের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছিল BESCOMকে। সেখানে বলা হয়, অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা নিয়ে চিন্নাস্বামীকে যেসব নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল সেগুলি কার্যকর করা হয়নি। এর আগেও অগ্নি নির্বাপক নিয়মাবলি পালনে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে চিন্নাস্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ সত্ত্বেও কেন স্টেডিয়ামে বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে, সেই নিয়ে BESCOMকে তিরস্কার করেছিল কর্নাটক হাই কোর্টও।
জানা গিয়েছে, চলতি বছরের আইপিএল ম্যাচগুলিতেও যথাযথ সুরক্ষাবিধি মানা হয়নি চিন্নাস্বামীতে। অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা কার্যকরের নির্দেশ দিয়ে একাধিকবার চিন্নাস্বামী কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়। তবে কাজ হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আরসিবির ঘরের মাঠে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আপাতত জেনারেটর দিয়ে মাঠের বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে কর্নাটক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন এখনও চুপ।
উল্লেখ্য, ১৮ বছরের খরা কাটিয়ে এবারের আইপিএল জিতেছিল আরসিবি। বেঙ্গালুরুতে তাদের সেলিব্রেশনের সময় স্টেডিয়ামের বাইরে পদপিষ্ট হয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়। প্রাথমিক ভাবে আহতের সংখ্যা ৪৭। মর্মান্তিক ঘটনায় স্বতোঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করে কর্নাটক হাই কোর্ট। তারপর থেকেই ঘটনার দায় ঠেলাঠেলি চলছে কর্নাটক সরকার এবং কর্নাটক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে। এহেন পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়ার নেপথ্যে কি রাজনীতি রয়েছে? উঠছে প্রশ্ন।
