সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রনজি ট্রফির পরের রাউন্ডে যাওয়ার আশা জোরদার করার জন্য কর্নাটকের বিরুদ্ধে ৬ পয়েন্ট নিশ্চিত করতে হত বাংলাকে। সেই সম্ভাবনাও ছিল। প্রথম ইনিংসে ৮০ রানের লিড নিয়েছিলেন অনুষ্টুপ মজুমদাররা। হাতে এসে গিয়েছিল ৩ পয়েন্টও। শেষ পর্যন্ত তাতেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে বাংলাকে। দ্বিতীয় ইনিংসে কর্নাটক ৩ উইকেট হারিয়ে ১১০ রান করার পর ম্যাচ ড্র হয়ে যায়। ম্যাচের সেরা হন অনুষ্টুপ মজুমদার।
অথচ চিন্নাস্বামীতে তৃতীয় দিনের শেষে ‘অ্যাডভান্টেজ’ ছিল অনুষ্টুপ মজুমদারদের। আশা করা গিয়েছিল চতুর্থ দিনে ময়ঙ্ক আগরওয়ালদের সামনে পর্যাপ্ত লক্ষ্য রেখে জয়ের জন্য ঝাঁপাবে বাংলা দল। সুদীপকুমার ঘরামির সেঞ্চুরির দৌলতে বড় রান তুলেও শেষরক্ষা হল না। বরং আরও একটু ঝুঁকি নিয়ে কেন তাড়াতাড়ি ইনিংস ডিক্লেয়ার দেওয়া হল না, সেই প্রশ্নও উঠছে।
প্রথম ইনিংসে বাংলাকে বড় রানে পৌঁছে দিয়েছিলেন অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার। শেষ পর্যন্ত বাংলা থামে ৩০১ রানে। বল হাতে বাংলাকে স্বপ্ন দেখানো শুরু করেছিলেন সুরজ সিন্ধু, ঈশান পোড়েলরা। বিশেষ করে ঈশানের দুরন্ত বোলিংয়ের শিকার অভিনব মনোহর, শ্রেয়স গোপালরা। তিনি তোলেন ৪ উইকেট। কর্নাটকের ইনিংস থামে ২২১ রানে। বাংলার লিড ছিল ৮০ রানের। সেই সঙ্গে প্রথম ইনিংসে লিড থাকার সৌজন্যে ৩ পয়েন্টও নিশ্চিত হয়ে যায় অনুষ্টুপদের।
তৃতীয় দিনের শেষে শেষে বাংলার রান ৩ উইকেট হারিয়ে ছিল ১২৭। এগিয়ে ছিল ২০৭ রানে। অবশেষে চতুর্থ দিনে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৮৩ রান করে ডিক্লেয়ার দেয় বাংলা। লাঞ্চের পরও ব্যাট চালিয়ে যান সুদীপকুমার ঘরামিরা। তিনি করেন ১০১ রান। ঋদ্ধিমান সাহা অপরাজিত থাকেন ৬৩ রানে। কর্নাটকের জন্য পাহাড়প্রমাণ ৩৬৪ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলা।
বল হাতে অবশ্য জয়ের আশা দেখিয়ে ছিলেন সুরজ সিন্ধু। দ্রুত ২ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার পর আর কোনও পার্থক্য গড়া যায়নি। কর্নাটক ৩ উইকেট হারিয়ে করে ১১০ রান। এই ম্যাচ থেকে ৩ পয়েন্টের সুবাদে বাংলার মোট পয়েন্ট দাঁড়াল ৮। এলিট সি-র টেবিলে রয়েছে পঞ্চম স্থানে। ফলে জয়ের জন্য পুরোপুরি না ঝাঁপানোর খেসারত দিতে হল বাংলাকে। রনজিতে চাপও বাড়ছে ক্রমশ।