সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টে ভারতীয় দলের উপর চাপ যত বাড়ছে, প্রত্যাশিতভাবেই তত বেশি করে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। এবার একযোগে ভারতীয় দলের কোচ এবং অধিনায়ককে বিঁধলেন প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী। তাঁর মতে, গিলের বোধোদয় হয়েছে ২৪ ঘণ্টা পর। তাছাড়া ড্রেসিংরুম থেকে যতটা সাহায্য পাওয়ার কথা ছিল সেটাও তিনি পাননি।
আসলে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চতুর্থ টেস্টে এই মুহূর্তে শোচনীয় পরিস্থিতি। সেটার জন্য নির্বিষ বোলিংকে যতটা দায়ী করছেন শাস্ত্রী, ততটাই দায়ী করছেন ভ্রান্ত রণকৌশলকে। তাঁর বক্তব্য, আগের ম্যাচে ভালো পারফর্ম করা ওয়াশিংটন সুন্দরকে এত দেরিতে বল করানো কেন? তাছাড়া নতুন বলে কেন অংশুল কম্বোজ, সিরাজের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারকে কেন নতুন বল দেওয়া হল না?
শাস্ত্রী বলছেন, "আগের ম্যাচে চার উইকেট পেল একজন। তাঁকে আনা হল ৬৭, ৬৯ নম্বর ওভারে। এতে ওই বোলারের কাছে কী বার্তা যাচ্ছে? ও তো ভাববে আমি চার উইকেট পেয়েছি, আমার ৩০,৩৫ ওভারের মধ্যে বল করার কথা। আর তুমি আমাকে ৬৯ ওভারে বল করাচ্ছ! তাও ও বল করতে এসেই দুই উইকেট পেয়ে গেল। আমার মনে হয় কৌশলগত ভাবে আমরা ভুল করে ফেলেছি।" প্রাক্তন ভারতীয় হেডকোচের কথায়, "অংশুল কম্বোজ, যে কিনা নিজের প্রথম টেস্ট খেলছে তাঁকে নতুন বল না দিয়ে সেটা দেওয়ার দরকার ছিল সিরাজকে। তাছাড়া যে বাউন্সার দেওয়ার কৌশল ভারত তৃতীয় দিন নিল সেটা দ্বিতীয় দিন নেওয়া উচিত ছিল। ২৪ ঘণ্টা পর বোধোদয় হল।"
শাস্ত্রী মনে করছেন, গিল যে ভুলগুলি করছেন সেটা শুধরে নেওয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু ড্রেসিংরুম থেকে যে সাহায্যটা তাঁর পাওয়ার কথা, সেটা পাচ্ছেন না। প্রাক্তন কোচ বলছেন, "এই ভুলগুলো ড্রেসিংরুম থেকে শুধরে দিতে হয়। আমার সময় কোহলির ক্ষেত্রেও মাঝে মাঝে করতে হত। ও অতিমাত্রাই আগ্রাসী ছিল। ভাবত প্রতি সেশনে পাঁচ উইকেট করে পড়বে। কিন্তু সেটা হয় না। ওকে বোঝাতে হত।" প্রাক্তন কোচ বলছেন, গিলের ক্ষেত্রেও তাই। এই সময় ড্রেসিংরুমের ভূমিকাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়। অন্তত প্রথম দেড় বছর গিলকে আরও সাহায্য করতে হবে।
