সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে ‘ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি’ নিয়েছেন ঈশান কিষান (Ishan Kishan)। ভারতীয় দলে তাঁর প্রত্যাবর্তন রূপকথার চেয়ে কম কিছু নয়। ক্রিকেটকে সম্মান দিয়েছেন বলেই এমন কামব্যাক সম্ভব হয়েছে। মনে করছেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
দেশের হয়ে ২০২৩ সালে শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন। এবার নীল জার্সিতে ফের দেখা যাবে তাঁকে। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে সর্বোচ্চ রান করে জাতীয় দলে ঈশানের ডাক পাওয়ার প্রসঙ্গে তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে মুখ খুলেছেন অশ্বিন। তিনি বলেন, "এটা একটা উপহার। যা ঈশানকে দিয়েছে ক্রিকেট। কেউ কেউ এর সঙ্গে সহমত নাও হতে পারেন। অনেকেই বলবেন, এটা হয়তো অন্যায্য। কিন্তু জীবন হল বৃত্তাকার। সেখানে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ থাকে। এর আগে ঈশান দল থেকে বাদ পড়েছিল। সেখান থেকে ফিরে এসেছে। এর একটাই কারণ। তা হল ক্রিকেটের যে সম্মান প্রাপ্য, তা ও দিয়েছে।"
বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির ফাইনালে ঝাড়খণ্ডকে জিতিয়ে ‘বঞ্চিত’ তকমা ঘোচানোর মরিয়া চেষ্টা একটা করেছিলেন এই উইকেটকিপার-ব্যাটার। ফাইনালে ৪৯ বলে ১০১ রানের ইনিংসে ছিল ছ’টা চার ও ১০টা ছয়। ১০ ম্যাচে ৫১৭ রান করে তিনিই শীর্ষ রান সংগ্রাহক। গড় ৫৭.৪৪। স্ট্রাইকরেট ১৯৭.৩। এরমধ্যে ২টি শতরান এবং ২টি অর্ধশতরান রয়েছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক প্রত্যাবর্তনের জন্য ভারতীয় দলে ঈশান সুযোগ পেয়েছেন বলেই মনে করছেন অশ্বিন।
তাঁর কথায়, "ও বুচি বাবু ট্রফিতে খেলেছে। ঈশানের মতো একজন খেলোয়াড় চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে ঝাড়খণ্ডের প্রতিনিধিত্ব করেছে। দলের হয়ে রনজি ট্রফির প্রস্তুতিতে এক নম্বর পারফর্মার ছিল ও। এরপর সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে নেতৃত্ব দিয়ে পারফরম্যান্স করে দলকে জিতিয়েছে। তাই এখানে ব্যক্তি ঈশানের থেকে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে ক্রিকেটার ঈশান। খেলাটাকে সম্মান করেছে বলেই এই সাফল্য।" উল্লেখ্য, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ এ-তে নামিবিয়া, নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রয়েছে ভারত। ৭ ফেব্রুয়ারি মুম্বইয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে অভিযান শুরু করবে টিম ইন্ডিয়া। এখন দেখার, ঈশানের বিশ্বকাপ ভাগ্য কেমন যায়।
