সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরসিবি'র আইপিএল জয় সেলিব্রেশনের বিভীষিকার পর কেটে গিয়েছে প্রায় তিনমাস। বিজয় উৎসবে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু ঘটেছিল ১১জন। দুর্ঘটনার দায় কার নিয়ে অনেক তরজা চললেও তারপর থেকে কার্যত নীরব ছিল আরসিবি কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি 'আরসিবি কেয়ার্স' নামে একটি উদ্যোগ ঘোষণা করেছে তারা। এবার দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করল বিরাট কোহলির দল।
আরসিবি কেয়ার্সের ওই উদ্যোগের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মৃতদের পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। তারা জানিয়েছে, '৪ জুন আমাদের হৃদয়ভঙ্গ হয়েছিল। আমরা আরসিবি পরিবারের ১১জন সদস্যকে হারিয়েছি। তাঁদের অভাব এখনও আমাদের কষ্ট দেয়। কোনও আর্থিক সাহায্যই তাঁদের অভাব পূরণ করার জন্য যথেষ্ট নয়। তবু প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে তাঁদের পরিবারকে ২৫ লক্ষ করে টাকা দিচ্ছি। এটা কোনও ক্ষতিপূরণ নয়। বরং সহানুভূতি ও ঐক্যবদ্ধতার প্রতিজ্ঞা। এভাবেই আমরা আরসিবি কেয়ার্সের সূচনা করছি। যা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় তাঁদের স্মৃতিকে ধরে রাখবে, সম্মান জানাবে।'
উল্লেখ্য, ওই ঘটনার কিছুদিন পরই মৃতদের পরিবারের জন্য ১০ লক্ষ টাকা সাহায্য ঘোষণা করা হয়েছিল আরসিবি। যা নিয়ে ওই সময় অনেকের বক্তব্য ছিল, এই সাহায্যের মাধ্যমে আসলে 'ড্যামেজ কন্ট্রোল'-এর চেষ্টা করা হচ্ছে। তারপর আর এই নিয়ে উচ্চবাচ্য করেনি আরসিবি। গত বৃহস্পতিবার পদপিষ্ট হয়ে মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে ‘আরসিবি কেয়ার্স’ নামে নতুন উদ্যোগের কথাও ঘোষণা করেছিল চলতি বছরের আইপিএল চ্যাম্পিয়নরা। ভক্তদের পাশে দাঁড়িয়ে, তাঁদের ভালোবাসাকে সম্মান জানানোর জন্য, তাঁদের ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার জন্যই এই ‘আরসিবি কেয়ার্স’। আইপিএল জয়ের উৎসব নয়, আরসিবি সমর্থকদের পাশে থাকার বার্তা দিতেই শুরু হচ্ছে এই ‘আরসিবি কেয়ার্স’।
উল্লেখ্য, আইপিএল ফাইনালের পরদিনই বিজয় মিছিলের প্রস্তাবে প্রবল আপত্তি ছিল পুলিশের। শেষ পর্যন্ত রোড শো বাতিল করা হয়। কিন্তু সেটা আবার আরসিবির তরফে ঘোষণা করা হয়নি। উলটে চিন্নাস্বামীর মূল অনুষ্ঠানের ঘণ্টা দুয়েক আগেও সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ওই বিজয় শোভাযাত্রা হবে বলে ঘোষণা করা হয়। সেই মতো বিরাট সংখ্যক মানুষ জড়ো হন চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। তারপরেই ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়।
