সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টেস্ট ইতিহাসে ঘরের মাঠে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার। ঘরের মাঠে জোড়া সিরিজে চুনকাম। ৬৬ বছরে প্রথমবার ৭ ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতে হার। মাঠে যে দল নামানো হচ্ছে বা যাঁদের যে ভূমিকায় খেলানো হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি অজিত আগরকররা যে দল নির্বাচন করে দিচ্ছেন, সেটা কি আদৌ টেস্ট জয়ের যোগ্য? দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হতশ্রী ফলাফলের পর নড়েচড়ে বসেছে বিসিসিআই। জানা গিয়েছে নির্বাচক প্রধান আগরকর ও কোচ গম্ভীরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হতে পারে। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে নির্বাচকদের অনুপস্থিতি নিয়ে বোর্ডের যুক্তি, 'স্কোর তো অ্যাপেই দেখা যায়।'
গত দু'বছরে ৩০ জনের বেশি প্লেয়ার টেস্ট দলে ডাক পেয়েছেন। তারপরও ভারতের টেস্ট দল 'স্থির' করা যায়নি। আবার ঘরোয়া ক্রিকেটকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা শুধু মুখেই বলা হচ্ছে। অথচ দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে অভিমন্যু ঈশ্বরণ, করুণ নায়ার বা সরফরাজ খানের ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিসংখ্যান দেখা হচ্ছে না। বরং আইপিএলে সাফল্য পাওয়া নীতীশ রেড্ডি বা হর্ষিত রানারা অগ্রাধিকার পাচ্ছেন। আবার গৌতম গম্ভীর যে প্রথম একাদশ নির্বাচন করছেন, তাতে তিন নম্বর ব্যাটার নিয়ে অসংখ্য প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে সিরিজ হারের এই সমস্যাগুলোকে আর ঢেকে রাখা যাচ্ছে না।
জানা গিয়েছে, গম্ভীর ও আগরকর, দু'জনকেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হতে পারে। তার মানে এই নয় যে, দু'জনের উপর আস্থা হারাচ্ছে বোর্ড। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে ম্যাচ চলাকালীন আগরকরদের অনুপস্থিতি নিয়ে কী ভাবছে বিসিসিআই? তাঁরা ভারতের ম্যাচ দেখতে ইংল্যান্ডে যাচ্ছেন, ভারতেরও বিভিন্ন মাঠে যাচ্ছেন। অথচ ঘরোয়া ক্রিকেট দেখতে আসছেন না। সেই নিয়ে অদ্ভুত যুক্তি দেওয়া হচ্ছে। বোর্ডের এক কর্তা বলছেন, "আমরা টেস্ট ব্যর্থতা নিয়ে নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলব। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটের কথা যদি বলতেই হবে, তাহলে বলব স্কোর তো অ্যাপেই দেখা যায়।" এই যুক্তির পর কি আর কোনও কথা হয়? তাহলে মাঠে যাওয়ার কী দরকার? অনেকেই মনে করিয়ে দিচ্ছেন নেভিল কার্ডাসের সেই বিখ্যাত উক্তি, 'স্কোরবোর্ড গাধা।'
