সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁকে এশিয়া কাপের দলে নেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা ছিল। অবশেষে এশিয়া কাপের স্কোয়াডে জায়গা হয়েছে তাঁর। প্রথম একাদশে জায়গা পেলে কি ফিনিশারের ভূমিকায় দেখা যাবে রিঙ্কু সিংকে? সেই প্রশ্নের উত্তর তৈরি করে রাখছেন তিনি। উত্তরপ্রদেশের টি-টোয়েন্টি লিগে ব্যাট হাতে একের পর এক ঝড় তুলে নিজের জায়গা পাকা করার পথে রিঙ্কু। মিরাট ম্যাভেরিকসের অধিনায়ক ৪৮ বলে করলেন ৭৮ রান। তুললেন ছক্কার ঝড়ও।
উত্তরপ্রদেশের লিগে কাশী রুদ্রাসের বিরুদ্ধে জেতার জন্য মাত্র ১৩৬ রান দরকার ছিল মিরাটের দলের। কিন্তু সেখানেও ২৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে আচমকা বিপদে পড়ে যায় তারা। সেখানে থেকে শুরু হয় রিঙ্কুর ধামাকা। মাধব কৌশিকের সঙ্গে জুটি বেঁধে অনায়াসে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যান। দুজনের জুটিতে ওঠে ১১৩ রান। আর মাত্র ১৫.৪ ওভারেই জিতে যায় মিরাট ম্যাভেরিকস। রিঙ্কু অপরাজিত থাকেন ৪৮ বলে ৭৮ রানে। মারেন ছটি ছক্কা এবং ছটি চার। ইনিংসের শেষ চার বলের স্কোরবোর্ড এরকম- ৬, ৪, ৬, ৬।
এর আগে উত্তরপ্রদেশের লিগে সেঞ্চুরি করেছিলেন রিঙ্কু। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৪৮ বলে ১০৮ রানের ইনিংস উপহার দেন রিঙ্কু। বিধ্বংসী সেই ইনিংস সাজানো ছিল ৭টা চার ৮টা ছক্কা দিয়ে। ফের একবার মিরাটকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলে এনে দক্ষ ফিনিশারের ভূমিকায় জিতিয়েছেন, তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলে। স্পষ্টতই এমন ইনিংসের পর তিনি যে টিম ম্যানেজমেন্টকে বার্তা দিয়ে রাখলেন, তা বলাই বাহুল্য। গত আইপিএলে ভালো ফর্মে ছিলেন না রিঙ্কু। ফলে জাতীয় দলেও তিনি কতটা সুযোগ পাবেন, সেটা নিয়ে সংশয় রয়েছে। যদিও ইউপি টি-টোয়েন্টি লিগে একাধিক বিধ্বংসী ইনিংসে 'ফিনিশারে'র জন্য নিজের স্থান পাকাপোক্ত করছেন তিনি।
