সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামনের মাসেই আইপিএলের মিনি নিলাম। তার আগেই সঞ্জু স্যামসনকে দলে নিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। তবে এখন তিনি সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে নিজেকে 'প্রমাণ' করতে মরিয়া তিনি। সেই লক্ষ্যে সফল তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে দুরন্ত ইনিংসে নজির গড়ে বিশ্বকাপের আগে জাতীয় দলের নির্বাচকদের বার্তা দিয়ে রাখলেন তিনি।
এশিয়া কাপের আগে অভিষেক শর্মার সঙ্গে ওপেন নামতেন সঞ্জু। কিন্তু শুভমান গিল টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সুযোগ পাওয়ার পর থেকে সঞ্জুর ব্যাটিং পজিশন নিয়ে নানান পরীক্ষানিরীক্ষা চালাচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট। কখনও তাঁকে তিন নম্বরে পাঠানো হয়েছে, কখনও তাঁর স্থান লোয়ার মিডল অর্ডারে। তাঁকে নিয়ে যখন এমন 'জাগলিং', ঠিক তখনই সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে দায়িত্বশীল ইনিংস উপহার তাঁর।
বৃহস্পতিবার প্রথমে ব্যাট করে ১৭৬ রান তোলে ওড়িশা। সর্বোচ্চ রান বিপ্লব সামন্তর। ৪১ বলে ৫৩ রান করেন তিনি। সম্বিত কুমার করেন ৪০। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন কেরল ওপেনাররা। নেমেছিলেন সঞ্জু স্যামসন এবং রোহন কুন্নুম্মাল। সাইক্লোনিক সেঞ্চুরি করেন রোহন। সঞ্জুও নজরকাড়া ইনিংস খেলেন। শেষ পর্যন্ত দু'জনেই অপরাজিত থাকেন। ১০ উইকেটে জয় পায় কেরালা।
৬০ বলে ১২১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন রোহন। ১০ চার ১০ ছক্কায় সাজানো তাঁর ইনিংস। অন্য প্রান্ত আগলে রেখে ইনিংসকে জয়ের সরণিতে নিয়ে যাওয়ায় অসাধারণ ভূমিকা নেন সঞ্জু। তিনি করেন ৪১ বলে ৫১ রান। ছ'টি চার একটি ছক্কাও হাঁকান। এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ ওপেনিং পার্টনারশিপ। তাঁদের জুটি পিছনে ফেলেছেন উর্ভিল প্যাটেল ও আর্য দেশাইয়ের ১৭৪ রানের জুটিকে।
কেরিয়ারে মোট ৩১৪ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন সঞ্জু। সব মিলিয়ে ৭৮১৪ রান রয়েছে তাঁর। ৫০টি হাফসেঞ্চুরি, ছ'টি সেঞ্চুরিও করেছেন। ২০১১ সালে কেরালার হয়ে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় তাঁর।২০১৩ সালে সঞ্জুকে সই করায় রাজস্থান। প্রথম দফায় ৩ মরশুম রাজস্থানের হয়ে খেলেন। ২০১৮ সালে তাঁকে আবার কিনে নেয় রাজস্থান। তারপর থেকেই রাজস্থানের মুখ হয়ে উঠেছেন সঞ্জু। ২০২১ সালে তাঁকে অধিনায়ক করা হয়। তাঁর অধিনায়কত্বে ২০২২ সালে ফাইনালে ওঠে রাজস্থান। ২০২৪ সালেও দলকে প্লে-অফে তোলেন সঞ্জু। কিন্তু গত আইপিএল থেকেই রাজস্থান ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে সমস্যা শুরু হয় সঞ্জুর। আসন্ন মরশুমে তিনি সিএসকে'তে খেলবেন।
