সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে মিলেছে দীর্ঘ পরিশ্রমের ফল। মিতালি রাজের অধরা মাধুরী এসেছে হরমনপ্রীতদের ঘরে। স্বপ্নপূরণ হয়েছে আপামর ভারতবাসীর। আর রাত জেগে এমন রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ দেখার পর ভারতীয় প্রমিলাবাহিনীকে প্রশংসায় ভরালেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বিরাট কোহলি, শচীন তেণ্ডুলকররা।
২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাস্ত হয়ে বিশ্বসেরার তকমা হাতছাড়া হয়েছিল সৌরভের টিম ইন্ডিয়ার। শেষবেলায় স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল দেশবাসীর। ভারতীয় মহিলা দলও দু'বার ফাইনালে পৌঁছে জয়ের মুখ দেখতে পায়নি। একবার অস্ট্রেলিয়া ও অন্যবার ইংল্যান্ডের সামনে ডুবেছিল তরী। তবে এবার সব বাধা পেরিয়ে জগৎসভার শ্রেষ্ঠ আসনে স্মৃতিরা। সোশাল মিডিয়ায় তাঁদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সৌরভ লিখেছেন, 'এমন ঐতিহাসিক জয়ের জন্য ভারতীয় মহিলা দলকে শুভেচ্ছা। গোটা দেশ তোমাদের জন্য গর্বিত। কী দারুণ প্রতিভা, সাহস আর প্যাশন। বিশ্বমঞ্চে তোমরা ভারতের নাম উজ্জ্বল করলে।'
সুদূর ইংল্যান্ডে বসেই টিভির পর্দায় চোখ রেখেছিলেন বিরাট কোহলি। ভারতীয় দলের জয়ের মুহূর্তের ছবি পোস্ট করে দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। বিরাটের আশা, আগামী প্রজন্মের মেয়েরা হরমনদের এই অনবদ্য লড়াই দেখেই খেলাকে কেরিয়ার হিসেবে বেছে নেওয়ার সাহস পাবে।
এদিন নবি মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে বসে ম্যাচ উপভোগ করেন শচীন তেণ্ডুলকর, রোহিত শর্মারা। ম্যাচ শেষে দর্শকদের উচ্ছ্বাস দেখে রীতিমতো আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন রোহিত।
এদিকে এক্স হ্যান্ডেলে তিরাশির সাফল্য মনে করিয়ে মেয়েদের অভিনন্দন জানান মাস্টার ব্লাস্টার। রিচা-শেফালিদের কুর্নিশ জানিয়েছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ অনিল কুম্বলে থেকে অলিম্পিকে সোনাজয়ী নীরজ চোপড়াও।
কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। আজ যেন গোটা দেশকে একসুতোয় বেঁধে দিয়েছেন ভারতীয় তারকারা। দীর্ঘ সাধনার পর এসেছে এই মাহেন্দ্রক্ষণ। জেমাইমাদের জন্য আজ হাজার ওয়াটের আলো গোটা দেশের মুখে।
