সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৫ বছর পরে ফের বিজয় হাজারে ট্রফি খেলবেন বিরাট কোহলি। জানা গিয়েছে, দিল্লি ক্রিকেট সংস্থাকে বিরাট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি নামবেন বিজয় হাজারে ট্রফি খেলতে। সেই ম্যাচগুলি খেলা হবে বিরাটের 'ঘর' বলে পরিচিত বেঙ্গালুরুতে। তবে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম ফের কিং কোহলির ব্যাটিং দেখতে পাবে কিনা সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। কারণ পদপিষ্ট কাণ্ডের পর থেকে চিন্নাস্বামীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
বিরাটের বিজয় হাজারে খেলা নিয়ে মঙ্গলবার কার্যত থ্রিলার সিনেমা হয়ে গিয়েছে কয়েকঘণ্টার মধ্যে। প্রথমে শোনা যায়, তিনি সাফ বোর্ডকে বার্তা দিয়েছেন, খেলবেন না বিজয় হাজারে। কারণ রবিবার সেঞ্চুরির পর মাঠেই বিরাট জানিয়েছিলেন, তিনি অতিরিক্ত প্রস্তুতিতে বিশ্বাস করেন না। অন্যদিকে রোহিত শর্মা জানিয়ে দেন, তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে নামতে চান। আন্তর্জাতিক টি-২০ থেকে অবসর নিলেও তিনি সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে খেলার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। আগামী দিনে মুম্বইয়ের হয়ে নামতে চান বিজয় হাজারে ট্রফিতেও।
বিরাটের এহেন সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়ে বোর্ড। কারণ ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা একপ্রকার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রোহিতের মতো মহাতারকাও খেলছেন। তাহলে একজন ক্রিকেটার ব্যতিক্রম হন কী করে? এই গুঞ্জনের ঘণ্টাদুয়েকের মধ্যেই বিরাটের ইউ টার্ন। বিজয় হাজারে খেলতে রাজি হয়ে যান কিং কোহলি। ডিডিসিএ প্রেসিডেন্ট রোহন জেটলি জানিয়ে দেন, বিরাট বিজয় হাজারে ট্রফি খেলবেন। তবে কটা ম্যাচে বা কোন ম্যাচে খেলবেন সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।
কিন্তু আচমকা কেন সিদ্ধান্ত বদল করলেন কোহলি? ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মতে, সম্ভবত নির্বাচন প্রক্রিয়ার কথা ভেবেই মতবদল বিরাটের। ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলেও জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া যায়, এমন উদাহরণ প্রতিষ্ঠা করতে চাননি তিনি। উল্লেখ্য, বিরাটকে দেখতে রনজি ট্রফির ম্যাচেও ১২ হাজারের বেশি দর্শক হয়েছিল। তিনি বিজয় হাজারে ট্রফি খেললেও দর্শকদের উন্মাদনা একইরকম থাকবে বলেই ধরে নিচ্ছে ক্রিকেটমহল।
খবর নিয়ে জানা গেল, সব কিছু ঠিকঠাক চললে, নতুন বছরের শুরুতে খুব সম্ভবত দু’টো থেকে তিনটে ম্যাচ খেলবেন কোহলি। ৩ জানুয়ারি সার্ভিসেস বনাম দিল্লি। ৬ জানুয়ারি রেলওয়েজ বনাম দিল্লি। ৮ জানুয়ারি হরিয়ানা বনাম দিল্লি। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজ। বিরাট ভারতে আর থাকেন না এখন। থাকেন লন্ডনে। তাই টানা খেলে তাঁর পক্ষে ফিরে যাওয়া সুবিধের। তিনটে ম্যাচই চিন্নাস্বামীতে আয়োজন করা হতে পারে, তবে গ্যালারি ফাঁকা রেখে।
