সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে আইসিসি বার্ষিক র্যাঙ্কিং। ওয়ানডে'তে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে ভারত। ১২৪ রেটিং নিয়ে শীর্ষে টিম ইন্ডিয়া। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। ঘটনাচক্রে র্যাঙ্কিং টেবিলে সেই আট নম্বরে ইংল্যান্ড। র্যাঙ্কিংয়ে এমন 'অবনতি'র পর ২০২৭ বিশ্বকাপের মূলপর্বে কি আদৌ যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে ইংল্যান্ড? এই প্রশ্ন উঠছে।
২০১৯ সালের বিশ্বকাপজয়ী দল শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানেরও পরে। তাদের রেটিং ৮৪। শেষ ১৪টি ওয়ানডে'র মধ্যে মাত্র তিনটিতে জিতেছে ইংল্যান্ড। জয়/পরাজয়ের অনুপাত ০.২৭২, যা কেবল নেপাল (০.২০০) এবং বাংলাদেশ (০.১৪২)-এর চেয়ে ভালো। অর্থাৎ হ্যারি ব্রুকের দলের বিশ্বকাপ মূলপর্বে সরাসরি যাওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট সংশয়ের মধ্যে।
অন্যদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের অবস্থাও তথৈবচ। ৮৩ রেটিং নিয়ে তারা রয়েছে ইংল্যান্ডের পর, নবম স্থানে। সুতরাং ক্যারিবিয়ান দলও নিশ্চিত নয় ২০২৭ বিশ্বকাপের মূলপর্বে সরাসরি যোগ্যতা অর্জনের ব্যাপারে। আগামী ২৯ মে দুই দলের মধ্যে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হতে চলেছে। দুই দলই চাইবে, সিরিজ জিতে র্যাঙ্কিং তালিকায় উপরে উঠ আসতে।
এরপর ২ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড। প্রোটিয়ারা আপাতত ৯৬ রেটিং নিয়ে ষষ্ঠস্থানে। ২১ সেপ্টেম্বর থেকে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজের ইংল্যাণ্ডের প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড। অর্থাৎ ২০২৫ সালে ৯টি একদিনের ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড। এই ম্যাচগুলিতে ছন্দে ফিরে আসতে না পারলে কিন্তু ইংল্যান্ডের জন্য সাড়ে সর্বনাশ। সেক্ষেত্রে ২০২৬ সালের ওয়ানডে সিরিজগুলির দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে ইংল্যান্ডকে। তবে, ২০২৫ সালের ম্যাচগুলিতে জয়ী না হতে পারলে রেটিং উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই ইংল্যান্ড যদি সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে অংশগ্রহণ করতে হবে তাদের। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে খেলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যদিও প্রথমবার বিশ্বকাপের মূলপর্বে সুযোগ না পেয়ে লজ্জার ইতিহাস গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইংল্যান্ডের ক্ষেত্রেও তেমন হবে না তো?
