সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, নারী নির্যাতন। এদেশে এসব নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। অথচ এ হেন সামাজিক ব্যাধির কোনও দাওয়াই এখনও খুঁজে বের করতে পারেনি কোনও সরকারই। পরিসংখ্যান বলছে, ধর্ষণের অভিযোগগুলির নিষ্পত্তিও দ্রুত করা সম্ভব হয় না। এমনকী কড়া শাস্তির বিধান থাকলেও ৭০ শতাংশ অভিযোগেই প্রমাণের অভাবে মুক্তি পেয়ে যান অভিযুক্ত।
এনসিআরবির তথ্য বলছে, এদেশে ধর্ষণ বা নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধের সংখ্যাটা চূড়ান্ত উদ্বেগজনক। ঠিক ততটাই উদ্বেগজনক এই ধরনের মামলাগুলিতে সাজাপ্রাপ্তের হার। পরিসংখ্যান বলছে, দেশের প্রতি দেড় হাজার মহিলার মধ্যে অন্তত একজন কোনও না কোনও অপরাধের শিকার। এক লক্ষ মহিলার মধ্যে প্রায় ৬৭ জনকে কোনও না কোনও অপরাধের শিকার হতে হয়েছে। তথ্যগুলি ২০২২ সালের।
[আরও পড়ুন: পলিগ্রাফে দশ প্রশ্ন, লাই ডিটেক্টরের সামনেও সিবিআইকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা সঞ্জয়ের]
এনসিআরবির দেওয়া পরিসংখ্যান (২০২২):
ঘটনা বিচারাধীন বিচার শেষ সাজাপ্রাপ্তের শতকরা হার
স্বামী বা আত্মীয়দের ৮,৫২,৫৯৮ ৪৬,৯৯৬ ১৭.৭
অত্যাচার
শ্লীলতাহানি ৫,৪৮,১৫৪ ৩১,৪৬৩ ২৫.৬
শিশুদের বিরুদ্ধে ২,৬১,৭৬১ ২৭,৬১৬ ৩১.৭
যৌন অপরাধ
ধর্ষণ ১,৯৮,২৮৫ ১৮,৫১৭ ২৭.৪
গণধর্ষণ, ধর্ষণ করে খুন ১,৩৩৩ ৬২ ৬৯.৪
ধর্ষণের চেষ্টা ২০,৮৫২ ৯৫৭ ২০.১
ইভটিজিং ৫২,১১৩ ২,৮২৬ ১৮.৫
অ্যাসিড হামলা ৬৮২ ৩২ ৫৩.১
পণের দাবিতে ৬০,৫৭৭ ৩,৬৮৯ ৩৩.৪
অত্যাচারে মৃত্যু
[আরও পড়ুন: পদের অপব্যবহার করে কোটি কোটি বেতন, সেবি চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক কংগ্রেস]
মেয়েদের বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধে এখনও দেশের শীর্ষে রাজধানী দিল্লি। এর পরেই রয়েছে হরিয়ানা, রাজস্থান, ওড়িশা, তেলেঙ্গানা। সে তুলনায় মেয়েদের বিরুদ্ধে অত্যাচারে খানিকটা ভালো জায়গায়, নাগাল্যান্ড, মিজোরামের মতো উত্তর-পূর্ব ভারতের ছোট রাজ্যগুলি।