অভিষেক চৌধুরী, কালনা: অপ্রত্যাশিতভাবে পূর্বস্থলীর (Purbasthali) লোকালয়ে দেখা মিলল কুমিরের। আর এই ঘটনাকে ঘিরে মঙ্গলবার বিকেলে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্বস্থলীর গ্রামে। পরে অবশ্য প্রশাসনিক কর্তা ও বনদপ্তরের কর্মীরা এসে কুমিরটিকে উদ্ধার করে। কিন্তু ওই এলাকায় বহু মানুষে নদীতে স্নান সারেন, তাই জলে কুমিরের হদিশ মেলার পর থেকেই আতঙ্কে ভুগছেন তাঁরা।
পূর্বস্থলী দু’নম্বর ব্লকের পিলা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত শিমুলডাঙা গ্রাম। একেবারে ভাগীরথী নদী লাগোয়া। মঙ্গলবার বিকেলে সেই গ্রামের নদীর পাড়ে উঠে আসে একটি কুমির। তাকে দেখেই গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নদীর পাড়ে জড়ো হয়ে যান গ্রামবাসীরা। তাঁরাই বনদপ্তরে খবর দেন। দপ্তরের কর্মীরা এসে কুমিরটিকে উদ্ধার করেন। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, কুমিরটি একটি বনের মধ্যে বিশ্রাম নিচ্ছে। ঘটনাস্থলে রয়েছে পূর্বস্থলী থানার পুলিশ ও বনদপ্তরের আধিকারিক সুকান্ত ওঝা ও কর্মীরা রয়েছেন।
[আরও পড়ুন: অনলাইন ক্রিকেট বেটিংয়ে সর্বস্বান্ত, দেনা মেটাতে না পেরে জলপাইগুড়িতে আত্মঘাতী যুবক]
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভাগীরথীর পাড়ে কুমিরটিকে দেখতে পাওয়া মাত্র স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান এবং বিডিওকে খবর দেওয়া হয়। বিডিও অফিসের তরফে বনদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এপ্রসঙ্গে বনদপ্তরের আধিকারিক সুকান্ত ওঝা জানান, “এটি একটি মিষ্টি জলের কুমির। বেশ কিছুদিন ধরেই ভাগীরথী নদীতে এটিকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছিল। আজ শিমুলডাঙা এলাকাতে এটি দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা।” বনদপ্তরের ওই আধিকারিক আরও জানান, “আমাদের অফিসাররা কুমিরটির উপর নজর রেখেছে। জল দিয়ে এটিকে অন্যত্র পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।”
পিলা পঞ্চায়েতের প্রধান সুমন দাস জানান, “মঙ্গলবার বিকেলে কুমিরটিকে গঙ্গার ধারে প্রথম দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপরই যোগাযোগ করা হয় বনদপ্তরের সঙ্গে। যেহেতু এলাকার বাসিন্দারা মানুষজন গঙ্গায় স্নান করেন তাই এলাকার মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে।” স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কে ভুগছেন। নদীতে নামতে ভয় পাচ্ছেন তাঁরা।