সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্ষার দিন। আপনি হয়তো ঘুম থেকে উঠে ছাদে গেলেন খানিক রোদ মাখতে। ওমনি আত্মারাম খাঁচাছাড়া! দোতলার উঠে দেখলেন হাঁ করে বসে আছে বিরাট কুমির। ওর ধারাল দাঁতে চমকাচ্ছে সকাল। ঠিক সময় খেয়াল না করলে অতিকায় সরীসৃপের জলখাবার হতেন। রাস্তাতেও ঘুরে বেড়াচ্ছে কুমিরের দল। ঠিক যেন দুঃস্বপ্ন! যদিও বন্যা কবলিত গুজরাটের বরোদা শহরে এটাই এখন বাস্তব চিত্র। মানুষ আর কুমির পাশাপাশি 'ঘর' করছে। অবশ্যই ভালোবেসে নয়, বরং আতঙ্কে কাঁটা জনতা।
গুজরাটে গত রবিবার থেকে একটানা বৃষ্টি হচ্ছে। ভারী বর্ষণে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকায়। ইতিমধ্যে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। যদিও বরোদাবাসীর দাবি, এবার স্রোতে ভেসে নয়, কুমিরে পেটে গিয়ে মৃত্যু হবে তাঁদের। আসলে বৃষ্টির জেরে গুজরাটে বিশ্বামিত্রি-সহ বেশ কয়েকটি নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। নদীর জল ঢুকে পড়েছে লোকালয়ে। পাশাপাশি বিশ্বামিত্রি নদী থেকে একাধিক কুমিরও ঢুকে পড়েছে জনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলিতে। ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সাধারণ জনগণের মধ্যে।
[আরও পড়ুন: তালিকায় শাহরুখ-আদানি, ভারতীয় ‘সুপার রিচ’দের সম্পত্তি সৌদি-সুইজারল্যান্ডের GDP-রও বেশি]
কুমিরের বেশ কিছু ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানেই দেখা গিয়েছ, বরোদা শহর এবং আশপাশের লোকালয়ে রাস্তায় কুমির ঘুরে বেড়ানোর দৃশ্য। একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, কুমিরের মুখে রয়েছে মরা কুকুর। অন্য ভিডিওতে একটি বাড়ির নিচু ছাদে দেখা গিয়েছে একটি কুমিরকে। বরোদা এবং আশেপাশের এলাকায় বসবাসকারী তিন হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যাঁরা রয়ে গিয়েছেন, তাঁরা প্লাবনের পাশাপাশি কুমিরের আতঙ্কে কাঁটা। প্লাবিত এলাকাগুলিতে বসবাসকারী বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, কুমিরের ভয়ে ঘরের ভিতরে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা।