সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের সমস্ত জয়গাথা তাঁরই নামে। সিংহাসনের উত্তরাধিকারী বদল হলে তাই বদলে যায় দেশের নিয়মকানুনও। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু তাই শুধু সিংহাসনের অধিকারী বদলের গল্প নয়, একই সঙ্গে গোটা দেশের ব্যবস্থা ঢেলে সাজার কাহিনিও।
বৃহস্পতিবার বিকেলে স্কটিশ বালমোরাল প্যালেসে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের (Queen Elizabeth II) মৃত্যুর ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই সেই পালাবদলের গল্পেরও শুরু। ‘গড সেভ দ্য কুইন’– গত সাত দশক ধরে এটাই ছিল ইংল্যান্ডের (England) জাতীয় সংগীত। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে যখনই সিংহাসনের পরবর্তী দায়িত্বভার গেল বড় ছেলে চার্লসের হাতে, সেই মুহূর্তেই আর গুরুত্বপূর্ণ থাকল না সাত দশক ধরে চলে আসা জাতীয় সংগীত। কারণ এবার থেকে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে হবে রাজাকে সুরক্ষিত রাখার জন্য – কিং চার্লস থ্রি। ফলে দেশের বদলে যাবে দেশের জাতীয় সংগীতের ভাষাও– গড সেভ দ্য কিং।
[আরও পড়ুন: প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়েছে বিবাহিত দাদা! রাগে ভাইপোকে অপহরণ করে ‘খুন’ যুবকের, উত্তপ্ত মন্তেশ্বর]
শুধু একটা গান বদলেই থামছে না এই তালিকা। একই সঙ্গে বদলাতে হবে দেশের কারেন্সি অর্থাৎ ব্যাংক নোট। রানির ছবি-সহ যত নোট রয়েছে বাজারে তা পালটে ফেলতে হবে। দ্য ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড জানিয়েছে, যাঁদের কাছে রানির ছবি-সহ যত কারেন্সি রয়েছে তা জমা দিয়ে বদলি নোট পেতে পারবেন নোটের মালিকরা। প্রায় আট হাজার কোটি ব্রিটিশ পাউন্ড মূল্যের কমপক্ষে ৪৫০ কোটি এমন নোট বাজারে রয়েছে যেখানে রয়েছে রানির ছবি। যার সবক’টিকেই নষ্ট করে ফেলতে হবে নিয়ম অনুযায়ী।
এছাড়াও পালটে যাবে আরও অনেক কিছুই, যার মধ্যে রয়েছে পতাকাও। রাজকীয় লাঞ্ছন, যেখানে মুদ্রিত রয়েছে ‘ইআইআইআর’ অক্ষর চারটি, পালটাতে হবে তা-ও। ব্রিটিশ সেনার সমস্ত কিছু যেখানে, তা সরকারি ভবন, দপ্তর হোক বা সেনা বিভাগের বিভিন্ন দপ্তর, সর্বত্র এতদিন ‘রানির রং’ হিসাবে ছিল নীল-লাল-সোনালির ছোঁয়া। কখনও আবার শুধু সোনালি রঙে অঙ্কিত হয়েছে প্রতীক। এই সমস্ত রংই ‘রানির রং’ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। এবার তা পালটে ফেলতে হবে।
[আরও পড়ুন: ‘৬০০ কোটি টাকা পুড়িয়ে দিল করণ!’, ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবির সমালোচনায় কঙ্গনা রানাউত]
ব্রিটেনের রয়্যাল পোস্টের সমস্ত চিহ্ন যা এতদিন ‘এআর’ অক্ষর বহন করত সেখানে বসবে নতুন রাজার প্রতীক। পাশাপাশি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রতিটি সদস্যকে দায়িত্ব গ্রহণের সময় এতদিন যে শপথবাক্য পাঠ করতে হত, সেখানে ঈশ্বরের পাশাপাশি রানির নামও গ্রহণ করতে হত। পালটে যাবে সেই শপথবাক্যও। সাত দশকের ব্রিটিশদের অভ্যাস বদলে যাচ্ছে রাতারাতি।