সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোনা পাচারে নাম জড়াল আফগানিস্তানের (Afghanistan) রাষ্ট্রদূত জাকিয়া ওয়ারদকের (Zakia Wardak)। প্রায় ২৫ কেজি সোনা-সহ মুম্বই বিমানবন্দরে তাঁকে আটক করল শুল্ক দপ্তর। জানা গিয়েছে, বিপুল পরিমাণ এই সোনার বাজার মূল্য ১৮.৬ কোটি টাকা। এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, গত ২৫ এপ্রিল দুবাই থেকে ভারতে আসার সময় মুম্বই বিমানবন্দরে সোনা-সহ আটক করা হয় আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত জাকিয়া ওয়ারদকে। নিয়ম অনুযায়ী, কারও কাছে ১ কোটি টাকার বেশি দামি কিছু উদ্ধার হলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে গ্রেপ্তার করে তদন্ত শুরু করার নিয়ম। তবে জাকিয়া আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত হওয়ায় দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়নি তাঁকে। তবে একজন রাষ্ট্রদূতের এমন আচরণে রীতিমতো স্তম্ভিত শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, ৫৮ বছর বয়সি জাকিয়া দীর্ঘ দিন ধরে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে ভারতে নিযুক্ত।
সূত্রের খবর, আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত ও তাঁর ছেলে যে বিপুল পরিমাণ সোনা নিয়ে ভারতে আসছেন, সে খবর আগে থেকেই ছিল ভারতীয় আধিকারিকদের কাছে। সেই মতো প্রস্তুত ছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। সাধারণ ভিভিআইপিদের বিমানবন্দর থেকে বেরনোর জন্য গ্রিন চ্যানেল থাকে। এই চ্যানেলের অর্থ ওই যাত্রীর কাছে এমন কিছু নেই যার তল্লাশি করার প্রয়োজন রয়েছে। রাষ্ট্রদূত হওয়ার সুবাদে জাকিয়া ওই রাস্তা দিয়ে যেতে চাইলে তাঁকে আটকান নিরাপত্তারক্ষীরা। সোনার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি তা অস্বীকার করেন।
এর পর বিমানবন্দরের মহিলা আধিকারিকরা তাঁর তল্লাশি নেওয়ার জন্য অন্য ঘরে নিয়ে যান। সেখানে জাকিয়ার জ্যাকেট, লেগিন্স, নি-ক্যাপ ও বেল্ট থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ২৫ কেজি সোনা। জানা যাচ্ছে, ১ কেজি ওজনের ২৪ সোনার ২৫ টি বার উদ্ধার হয়েছে তাঁর কাছ থেকে। যার বাজার মূল্য ১৮.৬ কোটি টাকা। আধিকারিকদের দাবি, এই সোনার নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনও প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র ছিল না জাকিয়ার কাছে।
[আরও পড়ুন: ‘দুঃখ’ মিটল কি? ডেরেকের বাড়িতে বৈঠক শেষে কী বললেন কুণাল?]
উল্লেখ্য, অভিনব পন্থায় সোনা পাচারের চেষ্টা নতুন কিছু নয়। মাঝে মধ্যেই বিমানবন্দরে ধরা পড়ে এই ধরনের পাচারকারী। তবে একজন রাষ্ট্রদূতের এমন আচরণ সুদূর অতীতে কখনও ঘটেছে বলে মনে করতে পারছেন না আধিকারিকরা।