সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ডেটিং অ্যাপে’র (Dating App) প্রতারণায় কোটি টাকা খোয়ালেন ৭৮ বছরের এক বৃদ্ধ। তাঁর অভিযোগ, অ্যাপ কর্মীদের দাবি মতো মোটা অঙ্কের টাকা দিলেও সঙ্গিনী মেলেনি। টাকাও ফেরত দেয়নি তারা। এই অবস্থায় পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) বাসিন্দা বৃদ্ধ। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুণের (Pune) সাইবার অপরাধ (Cyber Crime) থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পুনের শিবাজীনগরের বাসিন্দা হন অভিযোগকারী। তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় আধিকারিক ছিলেন। বিপত্নিক বৃদ্ধ অনলাইন মাধ্যমে সঙ্গিনীর খোঁজ করছিলেন। সেই সূত্রেই একটি ডেটিং অ্যাপের লিঙ্কে ক্লিক করেছিলেন। এর পর অনলাইন ফর্মে নিজের সম্পর্কে তথ্য দেন তিনি। পরবর্তী পর্যায়ে ওই ডেটিং অ্যাপের দুই কর্মী রজত সিং ও নেহা শর্মা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরিষেবার বিনিময়ে মোটা অঙ্কের টাকা চায়। এইসঙ্গে জানায়, হোয়াটসঅ্যাপেই নতুন সঙ্গিনীর সঙ্গে যোগযোগ করিয়ে দেবে তারা।
[আরও পড়ুন: বিচারপতি নিয়োগের পরও কলেজিয়াম বিবাদ অব্যাহত! ফের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নিশানায় সুপ্রিম কোর্ট]
এর পরে ‘রেজিস্ট্রেশন চার্জ’ নেওয়া হয় বৃদ্ধের থেকে। যা রিফান্ডেবেল বলে জানানো হয়। বৃদ্ধের দাবি, সঙ্গিনী পেতে ১ কোটি টাকার বেশি অনলাইনে পাঠিয়েছিলেন তিনি ডেটিং অ্যাপ সংস্থাকে। তাঁর অভিযোগ, টাকা দিলেও সঙ্গিনী মেলেনি। এমনকী ‘রিফান্ডেবেল’ টাকাও ফেরত পাননি। ঘটনায় মাথায় হাত পরে বৃদ্ধের। এই অবস্থায় পুনের সাইবার অপরাধ থানার দ্বারস্থ হন ৭৮ বছরের বৃদ্ধ। এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে সাইবার বিভাগের তদন্তকারীরা। যদিও এখনও পর্যন্ত প্রতারকদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি অভিযান অসমে, পালটা প্রতিবাদে মহিলারা, প্রিয়জনকে বাঁচাতে আত্মহত্যাও]
এক পুলিশ আধিকারিক জানান, ওই ডেটিং অ্যাপের প্রতিনিধিদের মে, ২০২২ থেকে জানুয়ারি, ২০২৩-এর মধ্যে মোট ২০ বার টাকা পাঠান বৃদ্ধ। যার পরিমাণ ছিল ১ কোটি ২ লক্ষ ১২ হাজার ৫০০ টাকা। দিল্লি ও গাজিয়াবাদের দু’টি প্রাইভেট ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে টাকা স্থানান্তরিত হয়। পুলিশের আরও দাবি, এই ধরনের ১৪৭ জন প্রতারক জাল ছড়িয়েছে পুনে শহরের। যাদের কাছে সর্বস্ব খোয়াচ্ছেন বহু নাগরিক।