সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ডানার আশঙ্কায় কাঁপছে ওড়িশা। বৃহস্পতিবার এই সুস্পষ্ট নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে চলছে। তার ফলে উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তাই বিপর্যয় মোকাবিলা করতে সমস্ত সরকারি কর্মচারীর ছুটি বাতিল করেছে ওড়িশা সরকার। অন্যদিকে, স্কুলগুলোকে টানা তিনদিনের ছুটি দেওয়া হয়েছে।
ডানার মোকাবিলায় সমস্তরকমভাবে প্রস্তুত থাকতে চাইছে ওড়িশার প্রশাসন। যেসমস্ত এলাকাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেখান থেকে সমস্ত মানুষকে সরিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ১০০ শতাংশ মানুষকে নিরাপদে সরানোর টার্গেট নিয়েছে সরকার। সেই সঙ্গে পুণ্যার্থী এবং পর্যটকদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বুধবার সকালের মধ্যে পুরী ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী সুরেশ পূজারী আবেদন করেছেন, ২৪ এবং ২৫ অক্টোবর যেন কেউ পুরীতে না আসেন। বুধবার ওড়িশা সফরে যাওয়ার কথা ছিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর। সেই সফরও বাতিল করা হয়েছে।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ভোরের মধ্যে ওড়িশার পুরী ও বাংলার সাগরদ্বীপের মাঝে আছড়ে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে ডানার। ল্যান্ডফলের সময় ঘণ্টায় গতিবেগ থাকবে ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত সমস্ত স্কুল ছুটি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সমস্ত সরকারি কর্মীর ছুটি বাতিল করেছে প্রশাসন। কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁরা যেন বুধবার থেকে শুক্রবার নিজেদের হেড কোয়ার্টারে হাজির থাকেন।
ডানার মোকাবিলার পরিকল্পনা করতে সোমবারই উপকূলবর্তী জেলারগুলোর প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি। ইতিমধ্যেই সেরাজ্যে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১১টি টিম মোতায়েন করা হয়েছে। তৈরি আছে সেনা, নৌসেনা এবং উপকূলরক্ষা বাহিনীও। ডানার দাপটে যেসমস্ত পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে তা দ্রুত স্বাভাবিক করতে নির্দেশ দিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী।