নিরুফা খাতুন: ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে সুপার সাইক্লোনে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’। আজ দুপুরে মায়ানমারের সিতওয়ে বন্দরের কাছাকাছি আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়। বাংলাদেশের কক্সবাজার ও মায়ানমারের উত্তর উপকূলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা। সরাসরি প্রভাব না পড়লেও সতর্ক বাংলা।
শক্তি বাড়িয়ে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে সুপার সাইক্লোনে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’। রবিবার ভোরে গতিবেগ ছিল প্রতি ঘন্টায় ২৪০ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ ক্রমশ উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। চরম শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে রবিবার দুপুরে মায়ানমারের সিতওয়ে (sittwe) বন্দরের কাছাকাছি আছড়ে পড়বে। সেই সময় গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার। বাংলাদেশের কক্সবাজার ও মায়ানমারের উত্তর উপকূলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা।
[আরও পড়ুন: প্রচণ্ড গরমে বাড়ছে চাহিদা, এসি ও এয়ার কুলারকে টেক্কা তালপাতার হাতপাখার]
বাংলায় সরাসরি প্রভাব না পড়লে ‘মোকা’ মোকাবিলায় প্রস্তুত প্রশাসন। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। পর্যটকদের সোমবার পর্যন্ত সমুদ্রে নামতেও বারণ করা হয়েছে। রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় মেঘলা আকাশ। বৃষ্টির পূর্বাভাসও রয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ও নদিয়ায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। সোমবার থেকে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমে ফের তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা।
বিকেলের দিকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদে। মঙ্গলবার তাপপ্রবাহ আরও কিছুটা বাড়বে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করেছে হাওয়া অফিস। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদে। উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই সোমবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা।