সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২০ সালে একের পর বিপদের সম্মুখীন গোটা দেশ। অতিমারী আবহে আমফানের পর ধেয়ে আসছে আরও এক ঘূর্ণিঝড় নিভার (Nivar)। যা বুধবার সন্ধেয় তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu)মামল্লপুরম এবং পুদুচেরির (Puducherry) কারাইকালের মধ্যে আছড়ে পড়তে চলেছে। বর্তমানে চেন্নাই থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি। সেসময় ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার। ইতিমধ্যে উপকূলবর্তী এলাকাগুলো থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জানিয়েছেন পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়নস্বামী। লেফটেন্যান্ট গভর্নর কিরণ বেদী টুইট করে বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকার আবেদন জানিয়েছেন। দুই রাজ্যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কাল থেকেই একটানা বৃষ্টি হয়ে চলেছে।
মৌসম ভবন সূত্রে খবর, বর্তমানে কুড্ডালোর থেকে মাত্র ২৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঘূর্ণিঝড় ‘নিভার’। আগামী ১২ ঘণ্টায় যা অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে চলেছে। ইতিমধ্যে ১২০০রও বেশি বিপর্যয় মোকাবিলাকারী সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে উপকূলবর্তী এলাকায়। ঘূর্ণিঝড় নিভার স্থলভাগের দিকে যত এগোচ্ছে, ততই উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্রও। ছ’টি বিশেষ ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বাতিল হয়েছে চেন্নাই এয়ারপোর্ট থেকে একাধিক উড়ানও। দুই রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত স্কুল বন্ধ থাকবে, জানিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার।
[আরও পড়ুন: ‘শাহিনবাগ দাদি’ থেকে তামিলনাড়ুর ইসাইবানি, বিবিসি’র প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকায় ভারতের চার]
এদিকে, চেন্নাইয়ে ৮০টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় বেসরকারি বাস-সহ সাতটি জেলায় আন্তঃরাজ্য এবং অন্তঃরাজ্য বাস পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। চেন্নাইয়ে সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকার (NEET) কাউন্সেলিংও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তামিলনাড়ু ও পুদুচেরীর মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি দুই রাজ্যকে সবরকমভাবে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি সকলকে সুরক্ষিত থাকার পরামর্শও দিয়েছেন।