সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চেয়েছিলেন দুর্গতদের পাশে থাকতে, কাছে থাকতে। তার জন্য উল্টোডাঙা থেকে সুন্দরবনের পথে পাড়ি দিয়েছিলেন লোকনাথ দাস। কিন্তু জীবনের আশ্রয় হারানো মানুষগুলোকে নতুন জীবন দানের ইচ্ছেপূরণের আগেই লোকনাথ নিজেই চলে গিয়েছেন জীবন ছেড়ে। ‘যশ’ বা ইয়াসে (Cylcone Yaas) বিধ্বস্ত সুন্দরবনের বিধ্বস্তদের জন্য ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান লোকনাথ। কিন্তু তাঁর মহৎ উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়নি। সুন্দরবনের সেসব মানুষজনের কাছে ঠিক পৌঁছেছে ত্রাণ। এবার পালা মৃত লোকনাথের পরিবারের প্রতি পালটা দায়িত্ব পালন। সে কাজের ভার এবার নিজের কাঁধে তুলে নিলেন মডেল-অভিনেত্রী শ্রেয়া পাণ্ডে (Shreya Pande)। তাঁর দুই ছোট সন্তানের দায়িত্ব নিলেন তিনি।
উল্টোডাঙার ১৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা লোকনাথ দাস স্থানীয় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। গত রবিবার তিনটি গাড়িতে ত্রাণ নিয়ে সুন্দরবনের উদ্দেশে রওনা দেন লোকনাথ। ঘটকপুকুরের কাছে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তাঁর। দিন কয়েক আগেই বাবাকে হারিয়েছিলেন লোকনাথ। এবার চলে গেলেন নিজেও। ফলে পরিবার কার্যত দিশেহারা। উপার্জনক্ষম ব্যক্তি বলতে আর কেউ নেই। এই অবস্থায় অবশ্য সত্যিই লোকনাথের পরিবারকে দিশেহারা হতে দেননি মডেল-অভিনেত্রী তথা সমাজসেবী শ্রেয়া পাণ্ডে। পরিবারের সবচেয়ে ছোট দুই সদস্যকে কাছে টেনে নিলেন শ্রেয়া। দায়িত্ব নিলেন তাঁদের বড় করে তোলার। শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেই নয়, শোকসন্তপ্ত লোকনাথের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে, তাঁদের ভরসা জুগিয়েছেন শ্রেয়া। কান্নায় ভেঙে পড়া লোকনাথের স্ত্রীকে শক্ত হওয়ার মন্ত্র দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: সত্যজিৎ রায়ের কোন ছোট গল্পগুলি উঠে এল নেটফ্লিক্সের ‘রে’ সিরিজে? দেখুন ট্রেলার]
রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের অন্যতম বর্ষীয়ান নেতা সাধন পাণ্ডের (Sadhan Pandey) মেয়ে শ্রেয়া। কিন্তু এটাই তাঁর পরিচয় নয়। তিনি মডেলিং, অভিনয়ে পৃথক কেরিয়ার গড়েছেন। তাছাড়াও সমাজসেবী হিসেবে নিজের আরও এক পৃথক পরিচয় গড়ে তুলেছেন। সেই কাজেই আপাতত বেশি মনোযোগী শ্রেয়া। তৃণমূল কর্মী লোকনাথের দুই সদস্যের দায়িত্ব নেওয়াও তাঁর ক্ষেত্রে হয়ত বিশেষ কোনও ব্যাপার নয়। কিন্তু লোকনাথের পরিবারের কাছে তিনি দেবদূতের মতোই।\