নব্যেন্দু হাজরা: একে করোনায় (Coronavirus) রক্ষা নেই, তায় বৃষ্টি দোসর। কোভিড আতঙ্কে এমনিতেই ফিকে উৎসবের রং। হাজারো আশঙ্কার মধ্যেই চলছে পুজোর প্রস্তুতি। আর তারই মধ্যে হাওয়া অফিস শোনাল দুঃসংবাদ। পুজোর আগেই ভিজতে পারে গোটা রাজ্য।
অক্টোবর-নভেম্বর মাস এমনিতেই ঘূর্ণিঝড়-প্রবণ। ফলে দুর্যোগের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এই প্রেক্ষাপটে চোখ রাঙাচ্ছে নিম্নচাপ-ঘূর্ণাবর্ত। দক্ষিণবঙ্গে আগামিকাল, বৃহস্পতি এবং শুক্রবার সেভাবে বৃষ্টি না হলেও সপ্তাহান্তে বৃষ্টির সম্ভবনার কথা বলছে আলিপুর হওয়া অফিস (Alipore Weather Office)। তবে এই দু’দিন রোদের তেজ বাড়বে। পুজোর দিনগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কি না সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানায়নি আলিপুর। যদিও আবহাওয়ার মতিগতি দেখে আতঙ্কে রয়েছেন দক্ষিণবঙ্গবাসী। একে করোনার আতঙ্ক। তার উপর প্রকৃতিও যদি বিমুখ হয়, তবে পুজোর আনন্দই ম্লান হওয়ার আশঙ্কা।
[আরও পড়ুন: পুজোর আগে ঊর্ধ্বমুখী রাজ্যের করোনা গ্রাফ, দৈনিক সংক্রমণে ফের শীর্ষে কলকাতা]
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ওড়িশা উপকূলে রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। সেখান থেকে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা পূর্ব বিহার পর্যন্ত বিস্তৃত। এই নিম্নচাপ অক্ষরেখা গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়েও গিয়েছে। এর প্রভাবেই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে সপ্তাহ শেষে অর্থাৎ শনি ও রবিবার। এর পাশাপাশি বৃষ্টি বাড়বে ওড়িশা, বিহার এবং ছত্তিসগড়ে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, শুক্রবার নাগাদ নতুন করে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে বঙ্গোপসাগরে এবং সংলগ্ন আন্দামান সাগরে। এই নিম্নচাপ অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশা উপকূলের দিকে অগ্রসর হবে। অবস্থা পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শক্তি বৃদ্ধি করে এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। যার ফলে সপ্তাহান্তে অন্ধ্র এবং ওড়িশা উপকূলে প্রবল বৃষ্টির সতর্কতা দিয়েছে হাওয়া অফিস। এই নিম্নচাপ বাংলাতেও প্রভাব ফেলতে পারে। তাতেই হবে বাংলায় বৃষ্টি।