অর্ণব দাস, বারাসত: গুলি কাণ্ডের পর এবার ২০ লক্ষ টাকা তোলার দাবি। না মিললে বারাকপুরের মতো মধ্যমগ্রামের দোকানেও গুলি চালানোর অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল আতঙ্কে বিখ্যাত বিরিয়ানি ব্যবসায়ী ডি বাপির মালিক ও তাঁর পরিবার ইতিমধ্যেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।
বিষয়টা ঠিক কী? বারাকপুর, মধ্যমগ্রাম-সহ উত্তর ২৪ পরগনার সর্বত্র ডি বাপি পরিচিত নাম। মঙ্গলবার রাতে মধ্যমগ্রামের দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন মালিক অনির্বাণ দাস। অভিযোগ, ১টা নাগাদ তাঁর পিছু নেয় দুই বাইক আরোহী। অনির্বাণ বাড়ির কাছাকাছি যেতেই একজন বাইক আরোহী তাঁর মোহনপুর বাড়ির দিকে চলে যায়। অপরজন অনির্বাণকে নজরে রাখে। এর পর অনির্বাণ রাস্তায় কর্তব্যরত পুলিশের কাছে যেতেই বেগতিক বুঝে বাইক আরোহী এলাকা থেকে চলে যায়। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে।
[আরও পড়ুন: মহিলা যাত্রীকে গালিগালাজ, বিশ্রী অঙ্গভঙ্গি! রাতের শহরে ফের ক্যাব চালকের ‘দৌরাত্ম্য’]
এবিষয়ে অনির্বাণ দাস জানান, বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন ও মেসেজ করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ২০ লক্ষ টাকা না দিলে মধ্যমগ্রামের দোকানেও গুলি চালানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রবল আতঙ্কে সকলে। প্রসঙ্গত, বছর ২ আগে বারাকপুরের ডি বাপি দোকান লক্ষ্য করে চলেছিল গুলি। ২০২২ সালের ১৬ মে বাইকে করে তিনজন দুষ্কৃতী বারাকপুর ওয়ারলেস মোড় সংলগ্ন জনপ্রিয় বিরিয়ানির দোকানে যায় দুষ্কৃতীরা। পরপর ৭ রাউন্ড গুলি চলে। এই ঘটনায় জখম হন দোকানের কর্মী এবং একজন ক্রেতা।