ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: সপ্তাহখানেক আগে বিজেপি যুব মোর্চার উত্তরকন্যা অভিযানকে ঘিরে প্রায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল শিলিগুড়ি। উলেন রায় বলে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যুও হয়। এর জেরে এখনও রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের সঙ্গে কেন্দ্রের সরকারে থাকা বিজেপির কথার লড়াই চলছে। এর মাঝেই উত্তরবঙ্গ সফরে এসে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে টানাপোড়েন চলাকালীন আচমকা বদলি করে দেওয়া হল শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার ত্রিপুরারি অর্থবকে। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থাভাজন বলে পরিচিত দেবেন্দ্র প্রকাশ সিং। বিষয়টি নিয়ে বিরোধীরা বিভিন্ন আলোচনা করলেও প্রশাসনের তরফে একে রুটিন বদলি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গের একটি জনসভায় বক্তব্য রাখার পরেই রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের বদলি বিষয়ক নির্দেশিকা জারি হয়। তাতে দেখা যায় কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারের দায়িত্বে থাকা দেবেন্দ্র প্রকাশ সিং (D. P. Singh) কে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার (Siliguri Police Commissioner) পদে বদলি করা হয়েছে। আর শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনারের পদে থাকা ত্রিপুরারি অর্থবকে করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ট্রাফিক পুলিশের আইজি। এছাড়া আরও ২৭ জন আধিকারিককে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বদলি করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ৯ দিন পর উলটো সুর! উলেন রায়ের প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই সন্তুষ্ট পরিবার ও বিজেপি]
২০০৪ ব্যাচের আইপিএস (IPS) আধিকারিকের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচয় হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কিছুদিন পরেই। ওই আধিকারিক যখন কলকাতা পুলিশের সহকারী কমিশনার (দক্ষিণ) পদে কর্মরত ছিলেন তখন আচমকা একদিন ভবানীপুর থানায় পৌঁছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকেই আস্তে আস্তে দেবেন্দ্র প্রকাশ সিং তাঁর ‘আস্থাভাজন’ হয়ে ওঠেন বলে পুলিশ মহলের একাংশের দাবি। যদিও অনেকে বলেন, দক্ষ ওই আধিকারিক একসময় কলকাতা ও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন। তাই উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে দেবেন্দ্র প্রতাপ সিংয়ের উপরই ভরসা রেখেছে রাজ্য প্রশাসন।