সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরাট বিল হাতে ধরিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পকেটে টান। এত টাকা দেওয়ার সাধ্য নেই। অভাবের তাড়নায় তাই সদ্যোজাতকেই বিক্রি করে দেওয়া হল। এমনই অভিযোগ উঠেছে এক দলিত দম্পতির বিরুদ্ধে।
আগ্রার (Agra) এমন ঘটনা সামনে আসতেই ছড়ায় চাঞ্চল্য। যদিও দম্পতির থেকে শিশু কেনার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, দত্তক হিসেবেই সদ্যোজাতকে দিতে এসেছিলেন ওই দম্পতি। জানা গিয়েছে, ববিতা নামের ওই দলিত মহিলা গত ২৪ আগস্ট সন্ধেয় একটি শিশু পুত্রের জন্ম দেন। প্রসব খরচ এবং ওষুধ মিলিয়ে ৩৫ হাজার টাকার বিল ধরানো হয় ববিতা ও স্বামী শিবচরণকে। কিন্তু পেশায় রিক্সাচালক শিবচরণ এতগুলো টাকা একসঙ্গে জোগাড় করতে পারেননি। তাই ঠিক করেন সদ্যোজাতকে বিক্রি করেই টাকা জোগাড় করবেন। যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। ১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে শিশুকে বিক্রি করে দেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরে জঙ্গি দমনে বড়সড় সাফল্য, ৭ ঘণ্টার তল্লাশিতে হদিশ মিলল জেহাদিদের গোপন ডেরার]
দম্পতির দাবি, হাসপাতালকে শিশু বিক্রির তাঁদের দিয়ে বেশ কিছু নথিতে টিপ ছাপও দেওয়া হয়েছিল। লেখাপড়া না জানায় সেসব না পড়েই টিপ ছাপ দিয়ে দেন তাঁরা। এমনকী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ারও কোনও কাগজপত্রও দেওয়া হয়নি তাঁদের। শুধু ১ লক্ষ টাকা হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়। যদিও হাসপাতালের তরফে ম্যানেজার সীমা গুপ্তা বলেন, "এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমরা একবারও ওই দম্পতিকে সন্তান দিতে জোর করিনি। দত্তক হিসেবেই নেওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে এই সংক্রান্ত কাগজপত্রও আছে।"
যদিও গোটা ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জেলাশাসক প্রভু এন সিং। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে। প্রমাণ মিললে দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।