সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলিত পরিবারের এক যুবতীকে ধর্ষণের পর গায়ে আগুন ধরিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। নৃশংস ঘটনার সাক্ষী রইল রাজস্থানের (Rajasthan) বারমেড় জেলা।
শুক্রবার পুলিশের তরফে জানানো হয়, গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে। সেই সময় ৩০ বছরের গৃহবধূ বাড়িতেই ছিলেন। সেই সুযোগেই তাঁর বাড়িতে ঢুকে পড়ে অভিযুক্ত শকুর খান। সেখানেই দুই সন্তানের মা দলিত ওই যুবতীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। যুবতীর চিৎকারে ততক্ষণে প্রতিবেশীরা ভিড় জমিয়ে ফেলেছেন। কী করবেন ঠাউর করতে না পেরে নিজের যৌন লালসা মেটানোর পরই যুবতীর গায়ে আগুন ধরিয়ে সেখান থেকে চম্পট দেয় শকুর।
[আরও পড়ুন: ‘ধোনি ভীষণ বিরক্তিকর অধিনায়ক’, ক্যাপ্টেন কুলকে কাঠগড়ায় তুললেন প্রাক্তন সতীর্থ]
এরপরই দগ্ধ যুবতীকে উদ্ধার করে বালমোরার এক সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে সেখান থেকে যোধপুরের এক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর শরীরে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে। অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, যুবতী যে এলাকার বাসিন্দা, সেখানেই বাড়ি অভিযুক্তর। কিন্তু তাঁরা পুর্বপরিচিত কি না, কিংবা তাঁদের মধ্যে পুরনো শত্রুতা ছিল কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থা সংকটজন হওয়ায় এখনও তাঁর বয়ান রেকর্ড করা সম্ভব হয়নি। তবে পলাতক অভিযুক্তর খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় শকুরের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।