সুকুমার সরকার, ঢাকা: বন্ধুদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলতে গিয়ে ভিনদেশে পৌঁছে গেল বাংলাদেশি (Bangladesh) কিশোর। জাহাজের কন্টেনারে সে লুকিয়েছিল। এরপর সেখানেই ঘুমিয়ে পড়ে। ঘুম যখন ভাঙল, তখন ওই কিশোরকে পাওয়া গেল মালয়েশিয়ার (Malyasia) একটি জাহাজে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করা হয় ক্ষুধার্ত, অসুস্থ অবস্থায়। তারপর হাসপাতালে ভরতি করে চিকিৎসার পর সুস্থ করে ফেরত পাঠানোর তোড়জোড় চলছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। ফিরতি জাহাজেই তাকে পাঠানো হতে পারে বাংলাদেশে।
গত ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম (Chittagong)বন্দর থেকে ছেড়ে যায় এমভি ইন্টিগ্রা নামে মালয়েশিয়ার জাহাজটি। তারপর ৬ দিন পর কন্টেনারের মধ্যে থেকে চিৎকার শুনতে পান জাহাজের ক্যাপটেন। ১৭ তারিখ পোর্ট ক্লাংয়ে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়। ক্লান্ত ও ক্ষুধার্ত অবস্থায় ফাহিম নামে ওই কিশোর কাঁদছিল। জাহাজের একজন সদস্য ছেলেটির চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে।
[আরও পডুন: আদানির আর্থিক ক্ষতিতে চিন্তিত নয়, ব্যাংকের বিপুল অঙ্কের ঋণ সুরক্ষিত, জানাল SBI]
মেরিন পুলিশ ফোর্স জানিয়েছে, ১১ জানুয়ারি বাংলাদেশের চট্টগ্রামে ফাহিম নামের ছেলেটি বন্ধুদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলার সময় কন্টেনারে আটকে পড়েছিল। ঘুমিয়ে পড়ার পর সে কন্টেইনারে আটকে যায় ও পরেরদিন ভারত মহাসাগরের ওপারে ইন্টিগ্রা কন্টেনার জাহাজের (Container Ship) সঙ্গে মালয়েশিয়ার দিকে রওনা হয়। পরে তাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে মালয়েশিয়ার বন্দর কর্মী ও পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় অভিবাসন বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগ তদন্ত শুরু করেছে। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
[আরও পডুন: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ঘর ওয়াপসি! অখিল গিরির উপস্থিতিতে তৃণমূলে ফিরলেন শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ রণজিৎ]
কর্তৃপক্ষ প্রথমে আশঙ্কা করেছিল, ফাহিম মানব পাচারের শিকার, কিন্তু শীঘ্রই ছেলেটির সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়ে তাকে পুনরুদ্ধার করছে। মালয়েশিয়ার সহকারী পুলিশ কমিশনার চা হুং ফং জানিয়েছেন, ঘটনায় কোনও খেলা হয়নি। এ বিষয়ে পুলিশে একটি রিপোর্ট দায়ের করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ছেলেটির জ্বর এবং তাকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়া এখন তাকে দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, ফাহিমের মামলাটি অভিবাসন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে যাতে তাকে একই জাহাজে দেশে ফেরত পাঠানো যেতে পারে।