সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেই ২০১৯ সালের শেষ থেকেই বিশ্বের বুকে থাবা বসিয়েছে মারণ করোনা ভাইরাস (Corona Virus)। তারপর যত দিন এগিয়েছে, ততই বেড়েছে কোভিডের দাপট। আর অতিমারীর বর্তমান সময়টাকেই সবচেয়ে বেশি ভয়ংকর বলে এবার দাবি করলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) প্রধান ডা. টেড্রোস আধানম। তাঁর কথায়, ভারতে জন্ম নেওয়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট (Delta varient) এখনও নিজের ভোলবদলে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। যা কোভিড-১৯-এর ভ্যারিয়েন্টগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভয়ংকর। আর যেভাবে বহু দেশে এই ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন WHO কর্তা।
প্রায় ১০০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নয়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। যা আরও বেশি প্রাণঘাতী বলেই দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। আর তাই প্রতিটি দেশকেই টিকাকরণে জোর দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে WHO। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানের কথায়, “আগামী বছর এই সময়ের মধ্যে প্রত্যেকটি দেশের অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকিসন দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্বের সমস্ত দেশের প্রধানদেরই এনিয়ে আরজি জানানো হয়েছে।” এই লক্ষ্যে পৌঁছনো সম্ভব না হলে সমস্যা কাটিয়ে ওঠা আরও কঠিন হয়ে উঠবে বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন WHO প্রধান।
[আরও পড়ুন: উইঘুর মুসলিম নিপীড়নে মৌন ইমরান, পালটা চিনকেই সমর্থন পাক প্রধানমন্ত্রীর]
তিনি আরও জানান, শক্তিশালী ও পুঁজিপথি দেশগুলি করোনা ভ্যাকসিন কুক্ষিগত করার চেষ্টা করলে আখেরে লাভ কিছুই হবে না। বরং প্রতিটি দেশ সমান পরিমাণে টিকা না পেলে সকলকেই ভুগতে হবে। তাই চেষ্টা করতে হবে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সমস্ত দেশের ১০ শতাংশ নাগরিককে ভ্যাকসিন দেওয়ার। আর বছরের শেষে ৪০ শতাংশ মানুষকে টিকাকরণের আওতায় আনার। পরের বছর জুলাইয়ের মধ্যে যা নিয়ে যেতে হবে ৭০ শতাশে। সব দেশের মানুষ টিকা পেলে তবেই মহামারীর বিরুদ্ধে জয়ের পথে এগোনো সম্ভব হবে। নাহলে এই ভয়ংকর পরিস্থিতি তীব্র থেকে তীব্রতরই হতে থাকবে বলে সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।