সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেয়েদের ওয়্যাক্সিং ও শেভিংয়ের উপর ফতোয়া জারি করল দ্য দারুল উলুম ইসলামিক স্কুল। উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর জেলা থেকে জারি করা হয়েছে ফতোয়া। এর আগে মহিলাদের আইব্রো শেপ ও প্লাক করা নিয়ে ফতোয়া জারি করেছিল এই সংগঠন।
আবদুল আজিজ নামে এক ব্যক্তির প্রশ্নের উত্তরে এই কথা জানায় দ্য দারুল উলুম। তিনি সংগঠনের কাছে প্রশ্ন রেখেছিলেন মহিলা ও পুরুষদের জন্য কি হাত ও পায়ে শেভিং বা ওয়্যাক্সিং করা বিধিসম্মত? এই প্রশ্নের উত্তরে সংগঠন জানায়, শরিয়ত আইন অনুযায়ী এটি অনুচিত কাজ। আন্ডার আর্ম, গোঁফ ও নাভির নিচের অংশ ছাড়া দেহের অন্যান্য অংশে শেভিং করা ঠিক নয়। এটি সংস্কৃতি বিরুদ্ধ। সংগঠনের মতকে সমর্থন করে দেওবন্দের মৌলানা সেলিম আসরাফ কাশমি বলেছেন, ফতোয়াটি সম্পূর্ণ সঠিক। শরিয়ত আইন তেমনই বিধান দেয়।
[ এবার বিদেশেও গো-প্রীতি মোদির! রোয়ান্ডার প্রেসিডেন্টকে উপহার ২০০টি গরু ]
গত সপ্তাহে এই সংগঠন এও বলেছিল, মুসলিম মহিলাদের মেহেন্দি পরা মেনে নেওয়া যায় না। দোকানিরা মুসলিম মহিলাদের চুরি পরিয়ে দিতে পারবে না বলেও বিধান দেয় তারা। কারণ পরপুরুষ কখনও মহিলাদের স্পর্শ করতে পারে না। এটিকে পাপ বলেও জানায় তারা। সিসিটিভি ক্যামেরা বাড়িতে ইনস্টল করা নিয়েও আপত্তি জানানো হয়। কারণ, এটি ‘ইসলাম-বিরোধী’। নিরাপত্তার জন্য অনেক কিছু করার রয়েছে। সেগুলি প্রয়োগ করা যেতে পারে। সিসিটিভি বসানো কোনও প্রয়োজন নেই।
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টুইটারের মতো সোশ্যাল সাইটে মুসলিমদের ছবি পোস্ট করা নিয়েও ফতোয়া জারি করা হয়েছে। দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ ফতোয়াই জারি করেছে দারুল উলুম দেওবন্দ। এর আগে, ২০১৭ সালের অক্টোবরে মুসলিম মহিলাদের আইব্রো শেপ ও প্লাক করা যাবে না বলেও জানিয়েছিল তারা। কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, সেটি নাকি ‘ইসলাম-বিরুদ্ধ।’
[ কর্পোরেশনে ঘুরছে মহিলার অতৃপ্ত আত্মা! ওঝা ডেকে চলল পুজোপাঠ ]
The post ওয়্যাক্সিং করা ‘ইসলাম-বিরুদ্ধ’, ফতোয়া জারি মুসলিম সংগঠনের appeared first on Sangbad Pratidin.