বাবুল হক, মালদহ: ফের দুটি পৃথক খুনের ঘটনা ঘটল মালদহে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওল্ড মালদহের নায়ায়ণপুর শিল্পাঞ্চল এলাকার একটি ইটভাটা থেকে এক আদিবাসী নাবালিকার মাথা থেঁতলানো ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। একই সময়ে বৈষ্ণবনগর থানার দুই শত বিঘি এলাকার একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে ৩৫ বছর বয়সি এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছে। দুই ক্ষেত্রেই ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে।
দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। গতকাল রাত পর্যন্ত কোনও খুনেরই কিনারা হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। তদন্ত চলছে। চাঞ্চল্যকর নৃশংস খুনের ঘটনাটি ঘটেছে ওল্ড মালদহে। মাথা থেঁতলে খুন করা হয়েছে আদিবাসী এক নাবালিকাকে বলে অভিযোগ। ইংলিশবাজার শহরের উত্তর বালুচরের পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রীর খুনের ঘটনার তিন সপ্তাহের মধ্যে ওল্ড মালদহের ভাবুক এলাকায় একই ধরনের খুনের ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলাজুড়ে। ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের বিষণপুরের একটি পরিত্যক্ত ইটভাটা থেকে নবম শ্রেণির আদিবাসী ছাত্রীর মাথা থেঁতলানো রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
[আরও পড়ুন: শাহজাহান কি হিন্দু? আদালতে ইডি আইনজীবীর সওয়ালে চাঞ্চল্য]
শুক্রবার সন্ধ্যায় মৃতদেহটি বাসিন্দাদের নজরে পড়ে। নিহত ১৩ বছরের ওই আদিবাসী ছাত্রী বৃহস্পতিবার বিকেলে বাদনা পরব উৎসবে গিয়েছিল সে। তার পরই ঘটে এই ঘটনা। দেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছয় মালদহ থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের অনুমান, ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। মাথায় ইটের আঘাত রয়েছে।
এদিকে, বৈষ্ণবনগর থানার চরি-অনন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই শত বিঘি গ্রামের এক মহিলা খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। সন্ধ্যায় ভুট্টার ক্ষেত থেকে গলাকাটা অবস্থায় ওই মহিলার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, মৃতার নাম মৌসুমী মণ্ডল (৩৫)। দীর্ঘদিন আগে এলাকারই বাসিন্দা অজিত মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মৌসুমীদেবীর। পরিবারে তাঁদের দুই নাবালক সন্তান রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, গত চারদিন আগে বাবার বাড়ি যাওয়ার নাম করে শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন ওই গৃহবধূ। তারপর থেকে কোনও খোঁজ ছিল না। এদিন দুই শত বিঘি এলাকায় একটি ভুট্টার ক্ষেতে কিছু অল্পবয়সি ছেলে ছাগল চড়ানোর সময় ওই মহিলার দেহ পড়ে থাকতে দেখে। এরপরই গোটা এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। কী কারণে খুন, সে বিষয়েও তদন্ত শুরু করেছে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ। তবে ধর্ষণ হয়েছে কি না, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই জানা যাবে, দাবি পুলিশের।