ভাস্কর মুখোপাধ্যায়: রাজ্যে প্রথম দফা নির্বাচনের দিনই অশান্তি বীরভূমে (Birbhum)। পাড়ুইয়ের মঙ্গলডিহি গ্রামের একটি জলাশয় থেকে উদ্ধার হল এক তৃণমূল কর্মীর মৃতদেহ। আর এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়াল গোটা এলাকায়। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের অভিযোগ, তাঁদের দলের ওই কর্মীকে খুন করেছে বিজেপি।
জানা গিয়েছে, শনিবার মঙ্গলডিহি গ্রামপঞ্চায়েতের হাসরা গ্রামের বাসস্ট্যান্ডের পাশের একটি জলাশয়ে ওই মৃতদেহটি ভাসতে দেখেন গ্রামবাসীরা। এদিন সকাল থেকেই নাকান বাগদি নামে ওই তৃণমূল কর্মী নিখোঁজ ছিলেন বলে খবর। এদিকে, মৃতদেহটি দেখার পরই তড়িঘড়ি পাড়ুই থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ আধিকারিকরা এসে সেটি উদ্ধার করে দেখেন, দেহে প্রাণ নেই। এরপরই গোটা এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায়।
[আরও পড়ুন: ‘বামেরা ফ্যাসিবাদী, সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরোধী’, একান্ত সাক্ষাৎকারে অকপট দীপ্সিতা]
ইতিমধ্যে এই খুনের জন্য বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে শাসক তৃণমূল। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল সংবাদমাধ্যমকে জানান, এই ঘটনার পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে। গেরুয়া শিবিরই জলে ডুবিয়ে হত্যা করেছে ওই তৃণমূল কর্মীকে। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
এদিকে, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই গোটা এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পরিবেশ রীতিমতো থমথমে। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারির দাবি তুলেছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তও শুরু হয়েছে। খুন না আত্মহত্যা, খুন হলেও তা কেন করা হয়েছে? সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মদ্যপ অবস্থাতে জলে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে।