সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে অ্যালেক্সেই নাভালনির (Alexei Navalny) মৃতদেহ! চাঞ্চল্যকর দাবি রুশ সংবাদমাধ্যমের। জানা গিয়েছে, ভ্লাদিমির পুতিনের প্রবল সমালোচকের দেহ উদ্ধার হয়েছে একটি মর্গ থেকে। দেহে প্রচুর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেই দাবি।
ঠিক কী তথ্য মিলছে রুশ (Russia) সংবাদমাধ্যমের তরফে? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্যারামেডিক জানান, মৃত্যুর কয়েকদিন পরে একটি মর্গে নাভালনির দেহ পাওয়া গিয়েছে। সারা গায়ে প্রচুর ক্ষতচিহ্ন ছিল। জেলে থাকাকালীন নাভালনির উপর শারীরিক নির্যাতন চলত, এই ক্ষতচিহ্ন দেখে সেটা নিশ্চিত করা যায় বলেই দাবি ওই প্যারামেডিকের। তাঁর কথায়, জেলে যদি বন্দির মৃত্যু হয় তাহলে তাঁর দেহ সোজা ফরেন মেডিসিন ব্যুরোতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্ত নাভালনির দেহ পাঠানো হয়েছিল হাসপাতালে। সেখানকার মর্গ থেকেই সম্ভবত নাভালনির দেহ মিলেছে বলে দাবি রুশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে।
[আরও পড়ুন: নাভালনির শোকসভা পালন বেআইনি! শতাধিক অনুগামীকে জেলে পাঠাল রাশিয়া]
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার নাভালনির মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়। কিন্তু এখনও তাঁর দেহ হাতে পাননি পরিবারের সদস্যরা। নাভালনির মৃত্যুর খবর পেয়ে আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে জেলে গিয়েছিলেন তাঁর মা। কিন্তু দেহ দিতে চাননি জেল আধিকারিকরা। তাঁদের দাবি, নাভালনির মৃত্যুর তদন্ত চলছে এখনও। তাই এখনই দেহ হস্তান্তর সম্ভব নয়। কিন্তু ঘটনাক্রম অন্যদিকে ঘুরে যায় খানিকক্ষণের মধ্যেই। নাভালনির আইনজীবীকে পুলিশ বলে, মর্গে নিহত নেতার দেহ নেই!
যদিও নাভালনি অনুগামীদের মতে জেল হেফাজতে খুন করা হয়েছে তাঁকে, সেই জন্যই পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হচ্ছে না। আসলে নাভালনির দেহ লুকিয়ে নিজেদের অপরাধকে ধামাচাপা দিতে চাইছে রুশ প্রশাসন। প্রসঙ্গত, ১৯ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল পুতিনের (Vladimir Putin) সমালোচককে। জেলে থাকাকালীনই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।