অর্ক দে, বর্ধমান: অঙ্গনওয়াড়ির খিচুড়িতে মিলল মরা সাপ! সেই খিচুড়ি খেয়েও ফেলল শিশুরা। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের। যদিও বড়সড় কোনও বিপদ ঘটেনি। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়া পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের পাড়াতল ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগকালাপাহাড় গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে।
অন্যান্য দিনের মতো বুধবারও ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খিচুড়ি রান্না করা হয়। বেলা ১০টা নাগাদ রান্নাবান্না শেষ হয়। শিশু এবং অন্তঃসত্ত্বাদের ওই খিচুড়ি দেওয়া হয়। বাড়ি গিয়ে খাওয়াদাওয়া করার সময়ই ঘটে বিপত্তি। এক শিশুর অভিভাবকের দাবি, খিচুড়ি কিছুটা খেয়ে ফেলে তাঁর সন্তান। তারপরই বাকি খিচুড়িতে মরা সাপ দেখতে পান। তড়িঘড়ি শিশুকে নিয়ে জামালপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান তাঁরা। চিকিৎসক বেশ কিছুক্ষণ শিশুকে পর্যবেক্ষণে রাখেন। তবে শিশুর তেমন কোনও শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়নি। এরপর স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বাড়ি ফেরে শিশুটি।
[আরও পড়ুন: স্রেফ বন্ধুত্বের খাতিরে কেতুগ্রামের নার্সের স্বামীকে সাহায্য, হাত কাটার ঘটনায় ধৃত আরও ২]
এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই অত্যন্ত বিরক্ত অভিভাবকরা। সঠিক সময়ে সাপটি চোখে না পড়লে বড়সড় বিপদ হতে পারত বলেই আশঙ্কা তাঁদের। কীভাবে শিশুদের খাবারে মরা সাপ এল, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে। অঙ্গনওয়াড়ি কর্তৃপক্ষের দাবি, যাঁরা প্রতিদিন রান্না করেন তাঁরা সেদিন অনুপস্থিত ছিলেন। সে কারণে অন্যরা রান্না করেছিলেন। কীভাবে এই ঘটনা ঘটে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় বিডিও শুভঙ্কর মজুমদারও জানান এই ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের শিশু বিভাগে রোগীর খাবারের মধ্যে কেঁচো পাওয়া যায়।হাসপাতাল থেকেই খাবার সরবরাহ করা হয়েছিল। এক অভিভাবকের খাবারের মধ্যে থাকা কেঁচোটিকে নজরে পড়ে। তার আগে অনেকেই তাদের চিকিৎসাধীন শিশুদের সেই খাবারে খাইয়েও দিয়েছেন। খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন অনেকেই। হুলুস্থুল কাণ্ড বেঁধে যায়। হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকেরা। ওয়ার্ড মাস্টারের ঘরে গিয়ে অভিযোগও জানান তাঁরা।পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।