বিক্রম রায়, কোচবিহার: সিকিমের (Sikkim) ভয়াবহ হড়পা বানে জলের তোড়ে দেহ ভেসে চলে গিয়েছিল বাংলাদেশে। বেশ কয়েকটি দেহ দেখতে পায় বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এর মধ্যে দুটি দেহ হস্তান্তর করা হল ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে। শুক্রবার রাতে কোচবিহারের গীতালদহ এবং ওপারের লালমনিরহাট সীমান্ত ফ্ল্যাগ মিটিং করে বিএসএফ (BSF), বিজিবি (BGB)। তার পর কফিনবন্দি দুটি দেহ তুলে দেওয়া হয় বিএসএফের হাতে।
শুক্রবার রাত আনুমানিক ৮টা নাগাদ ভারত-বাংলাদেশের (India-Bangladesh) গীতালদহ সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের লালমনিরহাট থানার কর্নপুরের চওড়াটারী গ্রামে দুই দেশের মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিং হয়। সেই মিটিংয়ে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর পাশাপশি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডস ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে মৃতদেহ দুটি তুলে দিয়েছে।
[আরও পড়ুন: শুভেন্দুর ‘ধমক’! মমতার উপহার দেওয়া শাড়ি ফেরালেন ৭ বিজেপি বিধায়ক]
শুক্রবার বাংলাদেশের লালমনির হাটের তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকায় মৃতদেহ দুটি ভেসে উঠতে দেখে বিজিবি। খোঁজখবর নিয়ে দেখা যায়, সিকিমের হড়পা বানে তিস্তা নদীতে ভেসে এসেছে দেহগুলি। স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে লালমনিরহাট থানা তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে। পরে বিএসএফকে খবর দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: গণধর্ষণের পর চিরে দেওয়া হয় পা, কামদুনি কাণ্ডের নৃশংসতায় আঁতকে ওঠেন সকলে]
বিএসএফের ৯০ নম্বর ব্যাটেলিয়নের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ড্যান্ট পাপ্পু মিনা, গীতালদহ ফাঁড়ির পুলিশ আধিকারিক রাজেন্দ্র তামাং-সহ বিএসএফের শীর্ষ কর্তারা বাংলাদেশের বর্ডার গার্ডের সঙ্গে ফ্ল্যাগ মিটিং হয়। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে মৃতদেহ দুটি তুলে দেওয়ার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের লালমনির হাট থানার ওসি ওমর ফারুক, ১৫ নম্বর বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার শরিফুল ইসলাম। কোচবিহার জেলা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদেহ দুটির এখনও সঠিক পরিচয় পাওয়া যায়নি।