দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: সোমবারই পরিবারের তিন সদস্যকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। আর মঙ্গলবার সকাল হতে না হতে সেই অভিযুক্তেরই খণ্ডবিখণ্ড দেহ উদ্ধার হল রেললাইনের ধার থেকে। হুগলির (Hooghly) চণ্ডীতলায় তিনজনকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল শ্রীকান্ত ঘোষ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সম্পত্তিগত বিবাদের জেরে তিনিই তাঁর তুতো ভাইয়ের পরিবারকে খতম করেছেন বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ছিল। মঙ্গলবার সকালে সেই ব্যক্তিরই দেহ উদ্ধারের ঘটনায় রীতিমতো চমকে গিয়েছেন দুঁদে গোয়েন্দারা। নয়া মোড় নিয়েছে গোটা ঘটনা।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার। জানা গিয়েছে, হুগলির চণ্ডীতলার (Chanditala) বাসিন্দা সঞ্জয় ঘোষ, তাঁর স্ত্রী মিতালী ও মেয়ে শিল্পা খুন হন। সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই সম্পত্তি নিয়ে খুড়তুতো ভাই শ্রীকান্তর সঙ্গে অশান্তি চলছিল সঞ্জয়বাবুর। একাধিকবার তা চরম আকার নেয়। অশান্তি মেটাতে সালিশি সভার আয়োজনও করা হয়েছিল। তাতে সাময়িক সমস্যা মিটলেও পরবর্তীতে নতুন করে ফের অশান্তি বাঁধে তাঁদের মধ্যে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের কারণেই ঘোষ দম্পতি ও তাঁদের মেয়েকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠে আসে শ্রীকান্ত ঘোষের।
[আরও পড়ুন: নিজের দপ্তরে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সভাপতি! ভাইরাল ছবি ঘিরে তুঙ্গে বিতর্ক]
এরপর মঙ্গলবার সকালে হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনের কামারকুণ্ডু স্টেশনের কাছে রেলট্র্যাকের (Rail Track) উপর থেকে শ্রীকান্তর খণ্ডবিখণ্ড দেহ উদ্ধার করে জিআরপি (GRP)। প্রথমে শনাক্ত করা যায়নি দেহ। পরে অনেক কষ্টে দেহটি শনাক্ত করেন প্রতিবেশীরা। দেহটি শ্রীকান্তর বলে চিহ্নিত করেন তাঁরা। তবে শ্রীকান্ত খুন হয়েছেন নাকি আত্মহত্যা করেছেন, সে বিষয়ে সংশয়ে পুলিশ। প্রতিবেশীদের একাংশের দাবি, সম্পত্তির জন্য তুতো দাদার পরিবারকে খুনের মতো গুরুতর অভিযোগ মেনে নিতে পারেননি শ্রীকান্ত। তাই ক্ষোভে-অপমানে আত্মহত্যা করেছেন। আবার কারও মতে, তিনজনকে খুনের পর শ্রীকান্তকেও হত্যা করেছে অন্য কেউ। সবমিলিয়ে, তিন খুনের কিনারা করতে গিয়ে পুলিশ আপাতত চারটি হত্যা মামলায় রহস্যের জাল কেটে বেরতে মরিয়া।