shono
Advertisement

Breaking News

চাকরির প্রলোভনে নাবালিকাকে ভারতে পাচার, স্বামী-স্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ড দিল বাংলাদেশের আদালত

সর্বোচ্চ শাস্তির রায় শোনাল খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল
Posted: 02:16 PM May 19, 2022Updated: 02:20 PM May 19, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বাংলাদেশের ১৭ বছরের এক নাবালিকাকে ভারতের একটি যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেওয়া হয়। ঘটনায় অভিযুক্ত হয় বাংলাদেশের (Bangladesh) খুলনা জেলার বাসিন্দা স্বামী-স্ত্রী। বুধবার যুগলকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিল বাংলাদেশের একটি আদালত। বুধবার এই রায় ঘোষণা করেছে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।

Advertisement

বাংলাদেশের একটি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের ১৯ অক্টোবরে ওই নাবালিকাকে ভারতের একটি যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেয় শাহিন শেখ ও আসমা বেগম। যদিও ভারতের কোন যৌনপল্লিতে তাকে বিক্রি করা হয়েছিল তা জানা যায়নি। তবে নাবালিকা ও তার পরিবারকে বলা হয়েছিল মেয়েটির জন্য ভারতে চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু খুলনা থেকে ভারতে আসার পর থেকেই নাবালিকার খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার। যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না ফোনেও। এরপর শাহিন ও আসমার বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় একটি জেনারেল ডায়েরি করে নাবালিকার পরিবার। অভিযোগ, এরপর নাবালিকাকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য শর্ত চাপায় শাহিন। নাবালিকার পরিবারের কাছে ২০ হাজার টাকা চায় সে। তারপর স্থানীয় খানজাহান থানায় শাহিন শেখ ও আসমা বেগমের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার পরিবার।

[আরও পড়ুন: একসঙ্গে রাত কাটানোর প্রস্তাব দিতেই হোয়াটসঅ্যাপে ব্লক করলেন প্রেমিক! রাগে আত্মঘাতী তরুণী]

নতুন করে অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে স্বামী-স্ত্রী শাহিন ও আসমার বিরুদ্ধে লম্বা চার্জশিট পেশ করেন তদন্তকারী আধিকারিক। ওই চার্জশিটের ভিত্তিতেই খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দীর্ঘদিন ধরেই শুনানি চলছিল। বুধবার ওই মামলার রায়ে শাহিন শেখ ও আসমা বেগমের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের বিশেষ আদালত।

[আরও পড়ুন: প্রবল বন্যায় বিপর্যস্ত অসম, মৃত বেড়ে আট, গৃহহীন প্রায় চার লক্ষ]

রায় ঘোষণার পর সরকার পক্ষের আইনজীবী বলেন, ২০১২ সালের আগে পর্যন্ত মানব পাচারের বিষয়টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মধ্যেই ছিল। ওই আইনের ৬ (১) ধারায় (বাংলাদেশের সংবিধান) মানব পাচারের বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে। বিচারক ওই ধারা অনুযায়ী আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছেন। তবে এই রায়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement