সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার (US) ফ্লোরিডায় (Florida) এক বহুতল বাড়ি ভেঙে পড়ায় (Building collapse) অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ এখনও ১১৭ জন। বেশ কয়েকদিন আগে মিয়ামিতে সমুদ্রের একেবারে সামনে অবস্থিত ওই বহুতলটি আচমকাই ভেঙে পড়ে। কিন্তু আগুন, ধোঁয়া এবং ভেঙে পড়া বাড়ির বাকি অংশ বিপজ্জনক ভাবে ঝুলে থাকায় উদ্ধারকাজ পুরোদমে চালানো যাচ্ছিল না। এদিকে এই পরিস্থিতিতে ঝড়ের পূর্বাভাসও রয়েছে। তাই বিল্ডিংটির বাকি অংশে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এরপর থেকে উদ্ধারকাজ জোরকদমে শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে ২৮টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার পরে এতদিন কেটে গেলেও এখনও সন্ধান মেলেনি ১১৭ জনের। আসলে ১২ তলা বাড়িটির অবশিষ্ট অংশের বিপজ্জনক অবস্থান ও গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় এলসার পূর্বাভাসের কারণে সতর্ক ছিলেন উদ্ধারকারীরা। তবে মায়ামির মেয়র জানিয়েছেন, বাড়িটি পুরোপুরি ভেঙে ফেলার পরে উদ্ধারকাজ জোর কদমে শুরু করা সম্ভব হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘ভাইরাস নিয়েই বাঁচতে শিখতে হবে’, আনলকের আগে দেশবাসীকে বার্তা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর]
গত ২৪ জুন ভেঙে পড়েছিল বাড়িটি। বহুতলটি এমন ভাবে গুঁড়িয়ে গিয়েছিল, কারও জীবিত থাকার সম্ভাবনা যে নেই তা আগে থেকেই আন্দাজ করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। এখনও পর্যন্ত একজনকেও জীবিত অবস্থায় না পাওয়ার পরে সেই আশঙ্কা সত্যি বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে কর্তৃপক্ষ সেই সঙ্গে প্রার্থনা করছে যদি কাউকে জীবিত অবস্থায় বের করা সম্ভব হয়। উদ্ধারকারীরা প্রতিটি কোনা খুঁজে দেখার চেষ্টা করছেন।
অত বড় বাড়িটি কী করে ভেঙে পড়ল তা এখনও জানা যায়নি। ৪০ বছরের পুরনো বাড়িটির নকশায় আগাম কোনও ইঙ্গিত ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সে বিষয়ে কিছুটা অগ্রসরও হয়েছেন তদন্তকারীরা। ২০১৮ সালের এটি ইঞ্জিনিয়ারিং রিপোর্ট অনুসারে, বাড়িটির কাঠামোগত কিছু ফারাক ছিল। এরই পাশাপাশি ওই ধরনের অন্য পুরনো বহুতল বাড়িগুলির নকশাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে যাতে এরপর এই ধরনের কোনও রকম দুর্ঘটনা এড়িয়ে যাওয়া যায়।