সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেলা গড়াতেই বাড়ছে বৃষ্টি। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রাণহানিও। বুধবার রাত থেকে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরাখন্ড ও হিমাচলপ্রদেশ। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, দুই রাজ্য়ে প্রাণ গিয়েছে অন্তত ১৪ জনের। নিখোঁজ বহু। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধার কাজ। তবে বিপদ এখনই কাটছে না। আগামী ৩৬ ঘণ্টা বৃষ্টি চলবেই বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। ফলে দুই রাজ্যে যে বিপদ আরও বাড়বে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।
বিপাশার জলে বিপর্যস্ত সেতু। ছবি: পিটিআই।
বুধবার থেকে মেঘভাঙা বৃষ্টি শুরু হয়েছে উত্তরাখণ্ডে। যার জেরে মন্দাকিনী নদীর জলস্তর হু হু করে বাড়ছে। মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে কেদারনাথ যাওয়ার ভীম বালি এলাকার ৩০ মিটার রাস্তা ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে। ওই রাস্তা দিয়ে আপাতত চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কংক্রিটের একাধিক সেতু। ইতিমধ্যে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ অন্তত ৩০। তাঁদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।
[আরও পড়ুন: বিধানসভায় শুভেন্দুর ঘরে দিলীপ ঘোষ, মিষ্টিমুখে কাটল শৈত্য?]
শিমলায় উদ্ধারকাজ চলছে। ছবি: পিটিআই।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার সন্ধে থেকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা উত্তরাখণ্ডের সাত জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলবে। ইতিমধ্যে প্রবল বর্ষণের জেরে সে রাজ্যের দু-এক জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বৈঠক সেরেছেন। সরকারি কর্মীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কুল্লু। ছবি: পিটিআই।
[আরও পড়ুন: বৃহস্পতিতে লক্ষ্মীর কৃপা শেয়ার বাজারে, ২৫ হাজারে উঠে ইতিহাস নিফটির]
পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে হিমাচলপ্রদেশেরও। প্রবল বৃষ্টিতে ফুলেফেঁপে উঠেছে বিপাশা। কুল্লুতে জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে বইছে নদীর জল। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি সিমলা, মান্ডি ও কুল্লুর। ইতিমধ্যে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মান্ডি থেকে ২ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। নিখোঁজ অন্তত ৫০ জন। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৪টে দল মোতায়েন করা হয়েছে। জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে সেই উদ্ধারকাজও ব্যাহত হচ্ছে। হাওয়া অফিস বলছে, টানা বৃষ্টি চলবে।